শীতের সকালে আচমকাই গগনভেদী গর্জন। আর তার পরই হুড়মুড়িয়ে পাহাড়ের কোল চিরে নেমে এল উন্মত্ত জলরাশি। তাতেই মুহূর্তের মধ্যেই ঘরবাড়ি এবং প্রকৃতির মাঝে গজিয়ে ওঠে জনজীবনের যাবতীয় অস্তিত্ব ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল। উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষারধসের জেরে উদ্ভুত হরপা বান আছড়ে পড়ার এমনই ভিডিয়ো সামনে এল, যা ২০১৩-র বন্যার ভয়াবহতা মনে করিয়ে দিচ্ছে সকলকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্থানীয় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ১৫০-২০০ শ্রমিক নিখোঁজ। দুপুর ৩টে পর্যন্ত ৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থলে ৪ কলম সেনা, চিকিৎসকদের ২টি দল এবং ১টি ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্কফোর্স পৌঁছেছে। রয়েছেন উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়ত। নিখোঁজ কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
রবিবার হিমবাহ ভেঙে তুষারধস নামে উত্তরাখণ্ডের চমোলি জেলায়। সকালে জোশীমঠের কাছে ওই তুষারধসের জেরে ধউলিগঙ্গার জলস্তর প্রবল ভাবে বেড়ে গিয়েছে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসে একের পর এক গ্রাম ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা।
রেইনি গ্রামের তপোবন এলাকায় ঘটনাস্থলের ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বাঁধ ভাঙা জল নদীর দু’পাশের বাড়ি ঘর ভেঙে তীব্র গতিতে এগোচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২০০ জনের উদ্ধারকারী দল। চামোলি থেকে ঋষিকেশ যাওয়ার রাস্তায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।