প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পুলওয়ামার দু’বছর পূর্তিতে সেনাবাহিনীর হাতে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তামিলনাড়ু এবং কেরলে একাধিক প্রকল্প উদ্বোধন করেন মোদী। শ্রদ্ধা জানান পুলওয়ামা হামলার শহিদদের উদ্দেশেও। পরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার তৈরি ওই যুদ্ধ সাঁজোয়া, অর্জুন মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক তিনি তুলে দেন সেনাবাহিনীর হাতে।
ডিআরডিও-র যুদ্ধযান গবেষণা সংস্থা সিভিআরডিই, ১৫টি দেশজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আটটি গবেষণাগার যৌথ ভাবে তৈরি করেছে অর্জুন মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক। রবিবার এই যুদ্ধ সাঁজোয়া সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে মোদী বলেন, ‘‘অটোমোবাইল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তৈরির ইতিমধ্যেই দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিকে টেক্কা দিয়েছে তামিলনাড়ু। এ বার দেখা যাচ্ছে দেশকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রেও বড়া ভূমিকা নিতে চলেছে তামিলনাড়ু। তামিলনাড়ুতে তৈরি এই যুদ্ধ সাঁজোয়া দেশের উত্তরের সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার করা হবে।’’
সামনেই বিধানসভা ভোট তামিলনাড়ু ও কেরলে। তার আগে রবিবার দুই রাজ্যে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী। তারই মধ্যে দেশবাসীর উদ্দেশে করোনা মোকাবিলা নিয়েও বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। করোনার বিরুদ্ধে দেশের সাফল্যের কৃতিত্ব দেশবাসীকেই দেন তিনি। মোদী বললেন, ভারত যে করোনা ভাইরাসের চ্যালেঞ্জকে কাটিয়ে উঠে এখন করোনা মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে তার কৃতিত্ব ১৩০ কোটি ভারতীয়র। তাঁরাই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে উজ্জীবিত করেছে।
রবিবার চেন্নাইয়ে মেট্রোর নতুন প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি তামিলনাড়ুর দু’টি রেলপথের সিঙ্গল লাইনের বৈদ্যুতিকরণের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। একটি বিল্লুপুরম-কাড্ডালোর-মইলাদুথুরাই-তাঞ্জাবুর বিভাগের অন্যটি মইলাদুথুরাই-তিরুভারুর বিভাগের। ২২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথের বৈদ্যুতিকরণের জন্য ৪৩৩ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্র। যা রেলের দিন প্রতি ১৪.৬১ লক্ষ টাকার জ্বালানি খরচ কমাবে। এ ছাড়া নিকাশি ব্যবস্থার জন্য ২৬৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোদী। চেন্নাইয়ের কাছে থাইয়ুরে আইআইটি মাদ্রাজের ডিসকভারি ক্যাম্পাস তৈরির জন্যে ১০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনাও করেন।
রবিবার চেন্নাইয়ে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে মোদীর সভায় হাজির ছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী ও উপমুখ্যমন্ত্রী ও পনিরসেলভম। স্টেডিয়াম থেকেই ৩৭৭০ কোটি টাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের সূচনা করেন মোদী। নতুন এই প্রকল্প চেন্নাই বিমানবন্দরকে জুড়বে শহরের উত্তরাংশ এবং সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে।