(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী-নবীন পট্টনায়ক। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কি বিজু জনতা দল (বিজেডি)-র সঙ্গে জোট বাঁধতে পারে বিজেপি? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওড়িশা সফরের পর সেই জল্পনাই শুরু হল। রাজ্য বিজেপি নেতারা সরকারকে বার বার কটাক্ষ করলেও ওড়িশায় গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে ‘মিত্র’ বললেন মোদী। পাল্টা সৌজন্যের অভাব দেখালেন না নবীনও।
শনিবার ওড়িশার সম্বলপুরে আইআইএম ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবর দাসজি, মুখ্যমন্ত্রী আমার মিত্র নবীন পট্টনায়কজি, ওড়িশার উন্নয়নের যাত্রায় এটা স্মরণীয় দিন।’’ জবাবে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মোদীর প্রশংসা করেন নবীন। তাঁর কথায়, ‘‘সম্মাননীয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য নতুন পথ খুলে দিয়েছেন। অর্থনৈতিক ভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে দেশ।’’
পরে একটি জনসভাতেও নবীন বা তাঁর সরকারের দিকে এক বারের জন্যও আঙুল তোলেননি মোদী। পরিবর্তে কেন্দ্রীয় প্রকল্প এবং ওড়িশা তা থেকে কী সুবিধা পেয়েছে, সে সব বিষয় তুলে ধরেছেন। রাজ্য বিজেপি নেতারা বার বার নবীন সরকারকে আক্রমণ করে চললেও শীর্ষ নেতৃত্ব কিন্তু সেই পথে হাঁটেননি। তাই দেখে কংগ্রেস নেতা অজয় কুমার বলেন, ‘‘নবীনকে নিয়ে মোদীর নীরবতা প্রমাণ করে যে, তাঁরা আর প্রতিপক্ষ নন।’’
২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওড়িশায় ছিল বিজেপি-বিজেডি জোট সরকার। পরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন-সহ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে সমর্থন করেছে নবীনের সরকার। কেন্দ্রে এনডিএ সরকারে ছিল না। তার পরেও মোদী সরকারের আনা তিন তালাক বিল, তথ্য জানার অধিকার (আরটিাই) সংশোধনী বিল পাশ করাতে সহায়তা করেছে নবীনের দল। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে যে প্রস্তাব এনেছিল মোদী সরকার, তাতেও সমর্থন জানায় বিজেডি। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে বিজেডির সাংসদ আচার্য বলেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছিন্নি অংশ। তাই ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা উচিত। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে কি তা হলে ফের হাত ধরতে চলেছে দুই দল? জল্পনা বাড়ছে।