বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কি না, সে দিকে নজর আবহবিদদের। —ফাইল চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ তৈরির আশঙ্কা। শনিবারের মধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরি হয়ে যাবে, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে সেই নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে আবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, সে দিকে নজর রাখা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হলেও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা এখনই দেখছেন না আবহবিদেরা। ওই নিম্নচাপ প্রভাব ফেলতে পারে তামিলনাড়ু এবং শ্রীলঙ্কার উপকূলে। সে দিকেই থাকবে তার অভিমুখ। যদিও পশ্চিমবঙ্গে আপাতত নতুন করে আর পারদপতনের সম্ভাবনা দেখছে না হাওয়া অফিস। আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে সকালের দিকে অধিকাংশ জেলাতেই থাকবে কুয়াশা।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই আপাতত শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যাবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথাও নেই। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ০.৪ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম। নতুন করে কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় রাতের তাপমাত্রা আপাতত কমছে না। আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গেও তাপমাত্রার তেমন পরিবর্তন হবে না।
বৃহস্পতিবার মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিঙে। সান্দাকফুতে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বরফ পড়েছে, যাতে পর্যটকেরা উচ্ছ্বসিত। সাধারণত ডিসেম্বর মাসে দার্জিলিঙে মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয়ে থাকে। গত বছর ৭ ডিসেম্বর প্রথম বরফ পড়েছিল সান্দাকফুতে। এ বছর নভেম্বরেই বরফ পড়ায় পর্যটন ব্যবসায়ীরাও আশাবাদী। ডিসেম্বরে আরও বেশি বরফ দেখতে পাবেন বলে তাঁরা মনে করছেন।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। শনিবার সকালের দিকে কুয়াশা থাকতে পারে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে শুক্রবার দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ এবং শনিবার থেকে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারেও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।