—প্রতীকী ছবি।
টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অন্ধ্রপ্রদেশে। সে রাজ্যের বাপাটলা জেলার গুন্টুরের এই নৃশংস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তার মৃত্যু হয়। তবে নিহত কিশোরের মৃত্যুকালীন জবানবন্দির ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইকেলে চেপে টিউশনে যাচ্ছিল ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোর ইউ অমরনাথ। হঠাৎই তাঁকে মাঝপথে দাঁড় করায় কিছু যুবক। তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কিশোরের কান্নার আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন। তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে গুন্টুরের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
পুলিশ সূত্রেই জানা যায়, অচেতন অবস্থায় বার বার ‘ভেঙ্কি’ বলে এক জনের নাম করছিল ওই কিশোর। হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ তার যে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নেয়, সেখানে সে ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি নামটি উচ্চারণ করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ব্যক্তির সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত কিশোরের ঠাকুরদা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর নাতনি অর্থাৎ, অমরনাথের দিদিকে কয়েক দিন ধরেই এক যুবক উত্ত্যক্ত করছিলেন। অমরনাথ তার প্রতিবাদ করেছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি, এই ঘটনার মূল অভিযুক্তের সঙ্গে কিশোরের দিদির প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। সব দিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত চলছে। খুব দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।”