প্রতীকী ছবি।
হাসপাতালের বেড শুয়ে রয়েছেন এক রোগী। পা দু’টো একটি চেয়ারের উপরে রাখা। তাঁর বুকে দু’হাত দিয়ে পাম্প করে চলেছেন তাঁর ছেলে। উদভ্রান্তের মতো ডাকছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের। কিন্তু কারও দেখা মিলছে না। এ ভাবেই কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন ওই রোগী। সমাজমাধ্যমে এই রোগী মৃত্যুর ভিডিয়ো ভাইরাল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আগরার সরোজিনী নায়ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রাজ্যে এটিই সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল। এ ভাবে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ওই রোগী করোনা সংক্রমিত কিনা, সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি।
হাসপাতালে গত কাল ভোরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে মমতা শর্মাকে নিয়ে যান তাঁর ছেলে মোহিত। তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালে পৌঁছনোর পর থেকেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা অসহযোগিতা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে সমস্যার কথা জানানোর পরে তাঁরা ভর্তি নেন এবং মাকে এক তলায় নিয়ে যেতে বলেন। পরে আইসোলেশন ওয়ার্ডে।’’ মোহিতের অভিযোগ, সেখানে কোনও চিকিৎসক ৬১ বছর বয়সি মমতাকে দেখতে আসেননি। মোহিতের কথায়, ‘‘সকালে দু’বার নীচে গিয়ে ডাক্তারের খোঁজ করি, পাইনি। ৭টার সময় এক জন স্বাস্থ্যকর্মী আমাকে বললেন, তাঁর শিফট শেষ হয়ে গিয়েছে। পরের শিফটের লোক এসে দেখবেন।’’ মোহিতের অভিযোগ, পরে আর কেউ আসেননি। সকাল সাড়ে ১০টার একটু পরে তাঁর মা মারা যান।
আগরায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এ নিয়ে আগরার মেয়র চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। আগরার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সিনিয়র আমলা অলোক কুমারকে নিয়োগ করেছেন যোগী। গত কালের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘আগরার ঘটনার জন্য লখনউ থেকে একটি দল পাঠানো হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালে কোনও মেডিক্যাল বোর্ড নেই। অনেক চিকিৎসক ছুটিতে। হাসপাতালের অবস্থা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। হাসপাতালের বেহাল দশার জন্য কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছে ওই কমিটি।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা তৈরিতে এগিয়ে অক্সফোর্ড, পরীক্ষায় সফল হলে বাজারে আসতে পারে সেপ্টেম্বরে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)