এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। ফাইল চিত্র।
সান ফ্রান্সিসকো যাওয়ার পথে রাশিয়ায় নামতে বাধ্য হয়েছিলেন যাত্রীরা। পুতিনের দেশে অনিশ্চয়তায়, উদ্বেগে কেটেছে ৩৬ ঘণ্টা। সেই যাত্রীদের বিমানভাড়া ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করল এয়ার ইন্ডিয়া। সঙ্গে একটি উপহারও দেবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
৩৬ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে রাশিয়া থেকে সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। যথাসময়ে গন্তব্যে নেমেও পড়েছে। তার পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বিমান ভাড়া ফেরত এবং যাত্রীদের জন্য উপহারের কথা জানানো হয়েছে। গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন কর্তৃপক্ষ।
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে মুখ্য গ্রাহক অভিজ্ঞতা এবং গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং অফিসার রাজেশ ডোগরা জানিয়েছেন, যাত্রীদের সান ফ্রান্সিসকো পৌঁছে দিতে দেরি হওয়ার জন্য তিনি সংস্থার হয়ে ক্ষমা চাইছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তাই তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিষেবায় এই ত্রুটির জন্য প্রত্যেককে বিমানের পুরো ভাড়া ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে উপহার হিসাবে যাত্রীরা পাবেন এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ভাউচার। যা ভবিষ্যতে বিমানযাত্রায় ব্যবহার করা যাবে।
গত সোমবার সকালে দিল্লি থেকে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৭৭। কিন্তু মাঝ আকাশে বিমানের ‘ফ্লাইট ইঞ্জিনে’ গোলমাল ধরা পড়ে। বিপদ বুঝে নিকটস্থ বিমানবন্দর পূর্ব রাশিয়ার মাগাদনের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে বার্তা পাঠান পাইলট। মাগাদনের বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল থেকে সবুজ সঙ্কেত পেতেই তড়িঘড়ি সেখানে বিমানটির জরুরি অবতরণ করানো হয়। তার পর থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টা রাশিয়াতেই আটকে ছিল বিমানটি। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছয়। যাত্রীদের থাকার জন্য আপৎকালীন ব্যবস্থা করেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাশিয়ার প্রান্তিক শহরে যাত্রীদের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। হয়রানির শিকার হন বয়স্ক এবং শিশুরা।
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিতে ২১৬ জন যাত্রী ছিলেন। প্রত্যেকেই নিরাপদে সান ফ্রান্সিসকো পৌঁছে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিমান কর্তৃপক্ষ।