—ফাইল চিত্র।
প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর রাশিয়া থেকে আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমানটি। বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা ১৫ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে একটি টুইট করে জানানো হয়, নির্বিঘ্নেই আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বিমানটি। নিরাপদে রয়েছেন বিমানের সব কর্মী এবং যাত্রীরাই।
গত সোমবার সকালে দিল্লি থেকে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বিমানটি। কিন্তু মাঝ আকাশেই বিমানের ‘ফ্লাইট ইঞ্জিনে’ গোলমাল ধরা পড়ে বলে বলে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানান। বিপদ বুঝেই নিকটস্থ বিমানবন্দর পূর্ব রাশিয়ার মাগাদনের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে বার্তা পাঠান পাইলট। মাগাদনের বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে সবুজ সঙ্কেত পেতেই তড়িঘড়ি বিমানটির জরুরি অবতরণ করানো হয় সেখানে। তার পর সেখানেই ৩৬ ঘণ্টা আটকেছিল বিমানটি। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, মুম্বই থেকে বিকল্প বিমান মাগাদনে গেলে যাত্রীদের নিরাপদে সান ফ্রান্সিসকো পৌঁছে দেওয়া হবে। যাত্রীদের থাকার জন্য আপৎকালীন পদক্ষেপও করেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রান্তিক এই শহরে যাত্রীদের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকতে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই বিষয়ে মুখ খোলে আমেরিকাও। সে দেশের বিদেশ দফতরের সহকারী মুখপাত্র বেদান্ত পটেল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমরা জানি আমেরিকায় আসা একটি বিমান রাশিয়ায় জরুরি অবতরণ করেছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। যদিও আমি জানি না, ওই বিমানে আমেরিকার কত জন নাগরিক ছিলেন।” এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিলেন, সান ফ্রান্সিসকোগামী ওই বিমান এআই১৭৩-তে ২১৬ জন যাত্রী ছিলেন। সেই সঙ্গে পাইলট, কো-পাইলট, বিমানকর্মী মিলে আরও ১৬ জন ছিলেন।পরে আমেরিকার তরফে জানানো হয়, ওই বিমানে ৫০ জনেরও কম আমেরিকার নাগরিক রয়েছেন। তাঁরা যে কেউই কোনও সাহায্যের জন্য রাশিয়ার আমেরিকান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয় জো বাইডেন প্রশাসনের তরফে।