ফাইল ছবি
শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া দিল্লির সংসদ ভবন নিরাপদ নয়। পাশাপাশি, সংসদের একাধিক কাজও সেখানে করতে অসুবিধা হয়। সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টের আওতায় নতুন করে দিল্লিতে তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক এলাকা। সেখানে রয়েছে সুবিশাল এক নতুন সংসদ ভবনও। স্পিকার সেই নির্মাণের পক্ষে দাঁড়িয়েই বলেছেন, নতুন সংসদ ভবন তৈরি হলে অনেকগুলি দিক থেকে সুবিধা হবে।
তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘সরকারের একগুঁয়ে মনোভাবের প্রশ্ন নেই। লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা সরকারকে জানিয়েছিলেন, শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া সংসদ ভবন ভূমিকম্পে টিকে থাকতে পারবে না।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, এই ভবনে সংসদের অনেকগুলি কাজ করতে অসুবিধা হয়। নতুন ভবনে সেটি হবে না। নির্মাণে বিপুল খরচ হলেও, রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেকটা কমবে বলেই দাবি করেছেন ওম।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশজোড়া আতঙ্ক তৈরি করার পর সংক্রমণ যখন নিম্নমুখী, তখনই সংসদে শুরু হবে বাদল অধিবেশন। ফলে সাংসদদের টিকাকরণের বিষয়টি এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ওম জানিয়েছেন, তিনি যা পরিসংখ্যান পেয়েছেন, তাতে এখনও পর্যন্ত লোকসভার ৪৪০ জন সাংসদ টিকা নিয়েছেন। করোনার কারণে লোকসভার কর্মদিবস কমে যাওয়ায় কাজের পরিমাণ কমেছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, সংসদের নিম্নকক্ষ কাজ করেছে যথেষ্ট। করোনার একের পর তরঙ্গের মধ্যেও লোকসভায় ১০৭টি বিল পাশ হয়েছে, কার্যকারিতা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২২ শতাংশে।