শিক্ষককে মাটিতে ফেলে মারধরের অভিযোগ পড়ুয়ার অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে মারার অভিযোগে এক শিক্ষককে ক্লাসের ভিতর থেকে তাড়া করে মাটিতে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার একটি ভি়ডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনের একটি সরকারি স্কুলের।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত শিক্ষকের নাম আর ভরত। তাঁর বিরুদ্ধে এক পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কেন মারা হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে স্কুলে হাজির হন ওই পড়ুয়ার বাবা-মা। অভিযোগ, ক্লাসে ঢুকেই শিক্ষককে পড়ুয়ার মা সেলভি প্রশ্ন করেন, “জানেন না, শিশুদের মারধর করা বেআইনি? কেন মেরেছেন আমার কন্যাকে? কে অধিকার দিয়েছে আপনাকে? জুতো দিয়ে মারা উচিত আপনাকে।” এই কথা বলেই শিক্ষককে ক্লাস থেকে টেনে বার করার চেষ্টা করেন। শিক্ষক কোনও রকমে হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তার পিছু পিছু গোটা স্কুল চত্বর ধাওয়া করেন সেলভা এবং তাঁর স্বামী শিবলিঙ্গম।
ছোট ছোট পড়ুয়াদের সামনে শিক্ষককে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন ওই দম্পতি। তাঁকে ইট দিয়েও আঘাত করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা যখন ঘটছিল, আতঙ্কে কান্না জুড়ে দিয়েছিল খুদে পড়ুয়ারা। শিক্ষককে মার খেতে দেখে তাঁরই এক সহকর্মী ছুটে আসেন। কিন্তু শিক্ষককে দম্পতির হামলা থেকে বাঁচাতে না পারায় সাহায্যের জন্য চিৎকার করেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আক্রান্ত শিক্ষককে উদ্ধার করেন।
পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। তুতিকোরিনের পুলিশ সুপার এল বালাজি শরবনন বলেন, “ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হয়েছে। সরকারি আধিকারিকের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগেও মামলা করা হয়েছে।” স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পড়ুয়াকে অন্য বেঞ্চে বসার জন্য বলেছিলেন শিক্ষক। কিন্তু সে কথা শুনছিল না। পাশের পড়ুয়াদের সঙ্গে মারামারি করছিল। আসন বদল করার সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। কোনও শিক্ষক ওই পড়ুয়াকে মারধর করেননি।