এই ছবি ঘিরেই গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ছবি সৌজন্য টুইটার।
ট্রেনের পার্সেল ভ্যান থেকে ছুড়ে ছুড়ে প্ল্যাটফর্মে ফেলা হচ্ছে বাক্সবন্দি জিনিস। একটার ঘাড়ে আর একটা গিয়ে পড়ছে। যাঁরা সেই পার্সেল ভ্যান খালি করছিলেন, তাঁদের যেন কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই! একটা সময় দেখা গেল, একটি পার্সেল সিলিং ফ্যানে গিয়ে ছিটকে লাগল। তার পর প্ল্যাটফর্মে পড়ল।
বাক্সতেই লেখা থাকে, ‘হ্যান্ডল উইথ কেয়ার’। কিন্তু যে ভাবে পার্সেলগুলিকে ছুড়ে ছুড়ে ফেলা হচ্ছিল, তা যেন সেই লেখাকে প্রহসন করছিল। ভিডিয়োটি গুয়াহাটি স্টেশনের। দুটি নামী অনলাইন বিপণনী সংস্থার লোগোও দেখা গিয়েছে ওই বাক্সগুলিতে।
ভূপিন্দর নামে এক টুইটার গ্রাহক ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন। তিনি লেখেন, ‘দেখুন কী ভাবে পার্সেলগুলিকে রাখছে রেল। এটা গুয়াহাটি স্টেশন। রাত সাড়ে ৮টা। নয়াদিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস (১২৪২৪)।’ এটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
নেটমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখে, বিষয়টি ব্যখ্যা করতে এগিয়ে আসে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। তাদের দাবি, ভিডিয়োটি পুরনো। মার্চ মাসের। যাঁরা পার্সেলগুলিকে রাখছিলেন, তাঁরা রেলের কর্মী নন। ওঁরা সংশ্লিষ্ট সংস্থার চুক্তিভিত্তিক কর্মী।
অন্য দিকে, দুই নামী অনলাইন বিপণনী সংস্থাও বিষয়টি নিয়ে মুখে খুলেছে। এক বিপণনী সংস্থার মুখপাত্রের দাবি, এটি মার্চের ভিডিয়ো। তাঁর কথায়, “গ্রাহকদের কাছে জিনিস যাতে ভাল ভাবে পৌঁছয়, সে দিকটা আমার সবস ময় খেয়াল রাখি। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।”
এক গ্রাহক এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে বলেন, “খালি বাক্সের মতো পার্সেলগুলিকে কেন ছুড়ে ফেলা হচ্ছে? এই কারণে অর্ডার দেওয়ার পরেও গ্রাহকরা ভাল মানের জিনিস হাতে পান না।”