— প্রতীকী চিত্র।
পঞ্জাব সীমান্তে বেড়েছে নজরদারি। তাই পাকিস্তান থেকে সেখানে ড্রোনে করে মাদক চালান অনেকটাই কমে গিয়েছে। তা বলে মাদক পাচার কমেনি। পঞ্জাবের পরিবর্তে এখন ড্রোনে করে রাজস্থান এবং গুজরাতে মাদক পাচার করছে পাকিস্তান। সেখান থেকেই মাদক সংগ্রহ করছে পঞ্জাবের চোরাচালানকারীরা। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
পাকিস্তান ড্রোনের সঙ্গে মাদক বেঁধে সীমান্ত পার করে পঞ্জাবে পাচার করে বলে অভিযোগ। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ধরপাকড় চালায় বিএসএফ। তাতে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে চোরাচালন। তবে একেবারে বন্ধ হয়নি। বিএসএফের একটি সূত্র বলছে, রাজস্থান, গুজরাত থেকে মাদক উদ্ধার বেড়েছে। বিশেষত হেরোইন। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিরও তেমনই পর্যবেক্ষণ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে গুজরাত সীমান্ত থেকে কোনও হেরোইন উদ্ধার করেনি বিএসএফ। ২০২২ সালে গুজরাত সীমান্ত থেকে ৪৯ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। বেশির ভাগই পঞ্জাবে পাঠানোর জন্য ড্রোনে করে গুজরাতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে রাজস্থান সীমান্ত থেকে ৮ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে বিএসএফ। ২০২১ সালে ৬৪ কেজি মাদক উদ্ধার হয়। ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে রাজস্থান সীমান্ত থেকে ৪৪.৫ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই সব এলাকায় পঞ্জাবের বেশ কয়েক জন চোরাচালানকারীর উপস্থিতি টের পান স্থানীয়েরা। তাঁরাই খবর দেন বিএসএফকে। সতর্ক হয়ে বেশ কয়েক জন চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিএসএফের সূত্র জানিয়েছে, সড়কপথে সে সব মাদক পঞ্জাবে চালান করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সম্প্রতি রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগর থেকে পঞ্জাবের দু’জন মাদক চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করে বিএসএফ। তাঁদের থেকে ৩০ কোটি টাকার মাদকও উদ্ধার হয়। রাজস্থানের বিকানের, জয়সলমের থেকেও গ্রেফতার হয়েছে চোরাচালানকারী।
বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সীমান্তের ও পার থেকে একটি ড্রোন চার বার উড়িয়ে এ পারে পাঠানো হয়। চতুর্থ বার গুলি করে নামানো হয় সেই ড্রোন। স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় তল্লাশি চালিয়ে খোঁজ মেলে ড্রোনটির। দেখা যায়, তাতে বাঁধা রয়েছে মাদক। পঞ্জাবের কয়েক জন চোরাচালানকারীও সেই ড্রোনটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল। তা করতে গিয়েই ধরা পড়ে তারা।