রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিহত আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি। ফাইল চিত্র।
শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে গোয়ায় এলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি। এসসিও-র দু’দিনের (বৃহস্পতি এবং শুক্রবার) এই বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তাঁর কথা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
এপ্রিলে পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জারাহ বালোচ সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই ভারতে যাচ্ছেন বিলাবল। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার পর বিগত ৯ বছরে আর কোনও পাকিস্তানি রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা শীর্ষ নেতৃত্ব ভারত সফরে আসেননি।
গোয়াগামী বিমানে উঠে বিলাবল টুইটারে লেখেন, ‘‘বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমার সিদ্ধান্ত শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশনের সনদের প্রতি পাকিস্তানের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরেছে। মিত্র দেশগুলির সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় আমি উদ্গ্রীব।’’
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বিলাবল বলেছিলেন, ‘‘ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। কিন্তু গুজরাতের কসাই এখনও জীবিত। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’’ ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ যুদ্ধে ভারতীয় সেনার নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর বিজয় দিবসে আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক বিদেশমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরেই নতুন করে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছিল।
রাশিয়া, চিন, ভারত, পাকিস্তান, কাজখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান— এই ৮ দেশ এখন শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজ়েশন-এর পূর্ণাঙ্গ সদস্য। এ ছাড়াও ৪টি দেশ— আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান এবং মঙ্গোলিয়া রয়েছে পর্যবেক্ষক সদস্য হিসাবে। ডায়লগ পার্টনার হিসেবে রয়েছে ৯টি দেশ— আর্মেনিয়া, আজ়ারবাইজান, মিশর, কাতার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, কম্বোডিয়া এবং সৌদি আরব। ভারত আগে এই জোটের পূর্ণাঙ্গ সদস্য ছিল না। ২০১৭ সালে পূর্ণ সদস্য হয়।