দলের সংগঠন নিয়ে মুখ খুললেন পি চিদম্বরম।
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি যেন একের পর এক জ্বালামুখ খুলে দিয়েছে কংগ্রেসে। কপিল সিব্বল এবং অধীর চৌধুরীর কাজিয়ার মধ্যেই এ বার বোমা ফাটালেন দলের আর এক প্রবীণ নেতা পি চিদম্বরম। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, বিহার এবং বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচনের ফলে বোঝা যাচ্ছে ওই সব জায়গায় কংগ্রেসের সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই। সেই সঙ্গে কংগ্রেস তার সাংগঠনিক ক্ষমতার থেকে অনেক বেশি আসনে লড়েছিল বলেও মেনে নিয়েছেন চিদম্বরম। জয়ের কাছাকাছি এসেও কেন বিহারে ‘মহাগঠবন্ধন’কে ক্ষমতার বৃত্তের বাইরেই থাকতে হল তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন চিদম্বরম।
এক সাক্ষাৎকারে চিদম্বরম আরও বলেন, ‘‘আমি গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকের উপনির্বাচনের ফল নিয়ে বেশি চিন্তিত। কারণ এই ফলই বলে দিচ্ছে হয় বাস্তবে দলের সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই অথবা থাকলেও তা দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’’ এই সূত্রেই সদ্যসমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কথা বলেছেন ওই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘‘বিহারে আরজেডি-কংগ্রেস জোটের জেতার সুযোগ ছিল। জয়ের এত কাছে এসেও কেন হার হল তা খতিয়ে দেখতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, কংগ্রেস রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং ঝাড়খণ্ডে খুব বেশি দিন আগে জেতেনি।’’
সদ্যসমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বিরোধী শিবিরে। কেন ক্ষমতা দখলের আশা জাগিয়েও পিছিয়ে পড়ল ‘মহাগঠবন্ধন’? সেই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে চিদম্বরমের কথায়। সাক্ষাৎকারে চিদম্বরম স্বীকার করে নিয়েছেন, বিহারে কংগ্রেস নিজের ক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি আসনে লড়াই করেছে। প্রসঙ্গত বিহারে ৭০টি আসনে লড়ে ১৯টি দখল করেছে হাতশিবির। এই সূত্র ধরেই তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষমতা যতটা তার থেকেও বিহারে বেশি আসনে লড়াই করেছে। কংগ্রেসের বাড়তি আসন প্রত্যাখ্যান করা উচিত ছিল।’’ ৭০-এর বদলে ৪৫ টি আসনে প্রার্থী দিলে জোটের ফল আরও ভাল হত বলেই মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার মৃত্যু তুফানগঞ্জে, খুনের অভিযোগ ওড়াল তৃণমূল
আরও পড়ুন: অন্য দলে যান বা নতুন দল গড়ুন, সিব্বলকে হুঁশিয়ারি অধীরের
বিহারের ক্ষত ভুলে কংগ্রেস সামনের দিকে তাকাতে চাইছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিদম্বরম। আগামী দিনে ভোট রয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং পশ্চিমবঙ্গে। ওই রাজ্যগুলিতে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।