ছবি: পিটিআই
রক্ষা নেই দিল্লিরও। শনিবার ৮০০ জনের বেশি করোনা আক্রান্ত রাজধানীতে। চলতি বছরে যে সংখ্যাটি সর্বোচ্চ। ইতিমধ্যে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল-সহ একাধিক রাজ্যে। সেখানে প্রশাসন বিধিনিষেধ আনার কথাও ভাবছে। এ বার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে লেগেছে রাজধানীতেও।
শনিবার সারা ভারতে ৪০ হাজার ৯৫৩ জন নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। চার মাসে এটিই সর্বোচ্চ। এর অর্ধেকটাই মহারাষ্ট্রে। সেই কারণে সে রাজ্যের একাধিক অংশকে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শুধু মহারাষ্ট্র নয়, নজরে রয়েছে পঞ্জাব, কর্ণাটক, কেরলের মতো রাজ্যগুলিও। কোথাও অস্থায়ী লকডাউন হয়েছে, কোথাও জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কার্ফু, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়েছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ থেকে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র।
চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের দাবি, নতুন করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ, মানুষের গা-ছাড়া মনোভাব, মাস্ক না পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার না করা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। প্রায় প্রতিটি রাজ্যের প্রশাসনের তরফ থেকেই সাধারণ মানুষকে নিয়ম মেনে চলার আর্জি জানানো হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল আগেই জানিয়েছিলেন, টিকাকরণ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি না মেনে শুধু টিকাকারণের জোরে করোনা দূর করা সম্ভব নয়, সেটা অনেকেই মনে করছেন।