ছবি: সংগৃহীত।
চিনের সংস্থার তৈরি টিকা নেওয়ার ২ দিন পরেই করোনায় আক্রান্ত হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানের সংক্রমণের খবর শনিবার টুইট করে জানিয়েছেন সে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহযোগী ফয়জল সুলতান। আপাতত নিজের বাসভবনে নিভৃতবাসেই থাকবেন ইমরান। সেখান থেকেই দেশের যাবতীয় কাজকর্ম সামলাবেন তিনি।
শনিবার টুইটারে ফয়জল লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কোভিড-১৯ টেস্ট পজিটিভ এসেছে। আল্লাহকে ধন্যবাদ তাঁর উপসর্গগুলি ততটা গুরুতর নয়। তিনি বাসভবনে নিভৃতবাসে রয়েছেন’। ফয়জল আরও জানিয়েছেন, ইমরানের সামান্য জ্বর এবং কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে বাসভবনে নিভৃতবাসে থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কাজকর্ম সামলাবেন তিনি। ফয়জলের টুইটের পর ইমরানের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর স্বীকার করেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতরও।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানকে ৫ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ দান করেছিল চিনের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সাইনোফার্ম। এর পরই সে দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়। ওই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ১৭ মার্চ চিন থেকে দ্বিতীয় দফার করোনা টিকা পৌঁছয় পাকিস্তানে। এর পর বৃহস্পতিবার চিনের তৈরি করোনা প্রতিষেধক সাইনোফার্মের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন ইমরান। টিকা নেওয়ার পর দেশবাসীকে করোনাবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। তবে ওই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২ দিন পরেই নিজে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে একমাত্র পাকিস্তানেই সাইনোফার্মের টিকাকরণ করা হচ্ছে। ওই টিকার ২টি ডোজ নেওয়া হলেও তবেই তা করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর বলে দাবি সংস্থার।
টিকাকরণের পর ইমরানের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সাইনোফার্মের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ইমরানের সংক্রমণের খবরে প্রকাশ্যে আসার পর একটি বিবৃতি জারি করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা মন্ত্রক। সংস্থার দাবি, ইমরানের টিকাকরণের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তাঁর (ইমরান) প্রথম ডোজ পড়েছে। তা-ও মাত্র ২ দিন আগে। ফলে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে এত তাড়াতাড়ি কিছু বলাটা উচিত হবে না। কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ২-৩ সপ্তাহ কাটলে দেহে প্রতিরোধী ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) গড়ে ওঠে’। এই প্রথম নয়, চিনা টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছে।