দক্ষিণ দিল্লির গার্গী কলেজ। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির একটি মেয়েদের কলেজে ঢুকে মত্ত অবস্থায় ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল বহিরাগতের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিল্লির গার্গী কলেজের ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হওয়ার পরে ঘটনাটি সামনে এসেছে।
পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, সে দিন কলেজে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে অন্য কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি ছিল। অভিযোগ, দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে চারটে নাগাদ ট্রাকে করে এক দল মত্ত যুবক ক্যাম্পাসে ঢোকে। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে তখন থিকথিকে ভিড়। তারই মধ্যে বহিরাগতেরা ঢুকে মেয়েদের যৌন হেনস্থা করে। অশালীন মন্তব্য, গায়ে হাত দেওয়া এমনকি ছাত্রীদের সামনে তারা স্বমেহন করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মত্ত যুবকদের একটি দল ঢুকে পড়ে কলেজের ঘরেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানান, ভয় পেয়ে মেয়েরা শৌচাগারের দিকে ছুটে পালালে সেখানেই তাঁদের আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত সেই তাণ্ডব চলে। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, ঘটনার দিন কলেজের বাইরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে মিছিল বেরিয়েছিল। সেখান থেকেই ট্রাকে করে ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল বহিরাগতেরা। সে দিনের হেনস্থার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রীরা। ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। ছাত্রীদের অভিযোগ, বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষাকে জানালেও তিনি ব্যবস্থা নেননি। এমনকি তাঁদের এ কথাও বলা হয়, নিরাপত্তা নিয়ে এত ভয় থাকলে ওই অনুষ্ঠানে আসাই উচিত ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, কলেজের তরফে এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। ফলে হেনস্থাকারীদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
কলেজের অধ্যক্ষা প্রমীলা কুমার অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সে দিন অনুষ্ঠানের জন্য বাইরের পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি ছিল। তাই মেয়েদের নিরাপত্তার খাতিরে বাউন্সার, পুলিশ এমনকি কমান্ডো মোতায়েন করা হয়েছিল। ছিলেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ জানায়নি। তবে বিষয়টি গুরুতর। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে তবে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’
আরও পড়ুন: ভারত ধর্মশালা নয়, হুঁশিয়ারি রাজের