—প্রতীকী চিত্র।
অরুণাচলের এ বারের নির্বাচনে বিজয়ী ৬০ প্রার্থীর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই নতুন মুখ। বিজেপির ৪৬ জনের মধ্যে ১১ জন আনকোরা। এনপিপি পাঁচটি আসনে জিতেছে। তার মধ্যে চার জনইপ্রথম বার বিধায়ক হবেন। পিপিএ-র টিকিটে জেতা দু’জনই নতুন মুখ। এনসিপির জয়ী প্রার্থীদের মধ্যেদু’জন ও তিন জন নির্দলের মধ্যে এক জন নতুন। ১৯টি আসনে লড়ে মাত্র একটি আসন কোনও মতে জেতা কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি নাবাম টুকি বলেন, “ফলাফলে আমরা হতাশ হলেও ভেঙে পড়ছি না। হারের কারণ বিশ্লেষণ করে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
৫৪.৫৭ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপির ৪৬ আসনে জেতার উল্লাসের মধ্যেও দলকে ভাবাচ্ছে দলের ১৪ জন প্রার্থীর পরাজয়। এমনকি শিক্ষামন্ত্রী টাবা টেডির এনসিপির আনকোরা প্রার্থী টোকো টাটুংয়ের কাছে হেরেছেন। একাদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলা পেমা খান্ডু বলেন, “গত বার আমরা ৪১ আসন পেয়েছিলাম। এ বার আরও পাঁচটি আসন বেশি পাওয়া প্রমাণ করল, রাজ্যবাসীর বিজেপির উপরে পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”
অরুণাচল প্রদেশের উইমেনস্ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নতুন সরকারের কাছে নারীকল্যাণে বেশি করে নজর দেওয়ার পাশাপাশি বহুবিবাহ বন্ধের আর্জি জানিয়েছে। যেহেতু জনজাতিপ্রধান রাজ্য অরুণাচলের বেশ কিছু জনগোষ্ঠীতে বহুবিবাহ স্বীকৃত, তাই মহিলা সংগঠনের দাবি, একাধিক স্ত্রী থাকা কোনও বিধায়ককে যেন অন্তত নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের দায়িত্ব না দেওয়া হয়। কারণ, তিনি মহিলাদের আসল সমস্যাই বুঝবেন না।
ভাবী বিধায়কদের ৯৭ শতাংশই কোটিপতি। ৪৮ জনের সম্পদের পরিমাণ গড়ে ৫ কোটির উপরে। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৬ কোটি টাকা, এনসিপির তিন জয়ী প্রার্থীর গড় সম্পদ অবশ্য ৭৪ কোটি টাকারও বেশি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি ধনীতম বিধায়কও হবেন পেমা খান্ডু। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৩২ কোটি টাকা! দ্বিতীয় স্থানেএনসিপির নিক কামিন (১৫৩ কোটি) ও তৃতীয় স্থানে চাওনা মেইন (১২৬ কোটি)। বিজেপিরপুনর্নির্বাচিত বিধায়কদের সম্পদ গত বারের তুলনায় গড়ে ১৫ কোটি টাকা বেড়েছে। জয়ীদের মধ্যে ২২ শতাংশের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে মামলা চলছে।