শ্রমিক স্বার্থে ঘা লাগিয়েই বিভিন্ন রাজ্যে বদল হচ্ছে শ্রম আইন। প্রতীকী চিত্র।
করোনা মোকাবিলার ‘অজুহাতে’ উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত-সহ বিভিন্ন রাজ্য শ্রমিক-বিরোধী আইনে ছাড়পত্র দিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজা-সহ সাত বিরোধী দলের নেতারা এ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিলেন। প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ক্ষুব্ধ ট্রেড ইউনিয়নগুলি। অভিযোগের তির কেন্দ্রের দিকেও। এ দিকে, নিয়োগকারীদের সংগঠনগুলির দাবি, দেশ জুড়ে শ্রম আইনটাই কার্যত দু’তিন বছরের জন্য শিথিল করে দেওয়া হোক।
লগ্নি টানা সহজ করতে সম্প্রতি শ্রম আইনে বদল করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। অভিযোগ, সেই বদলের অনেকটাই কর্মী-স্বার্থ বিরোধী। যেমন, কর্মীর সংখ্যা খুব কম হলে তাঁদের স্বার্থের বিষয়টিতে নজরদারিই হবে না। দিনে কাজের সময় ৮ থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করার কথা বলেছে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব-সহ বেশ কিছু রাজ্য। আপাতত তিন বছরের জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে শ্রম আইন শিথিল করার কথা ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ফলে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং কাজের পরিবেশের বিষয়ে আপসের রাস্তা খুলে যেতে পারে বলে অভিযোগ। সরকারের যদিও দাবি, করোনা যুঝে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই এই সিদ্ধান্ত।
ইয়েচুরিদের বক্তব্য, যেখানে বিশাখাপত্তনমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, রেলে কাটা পড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিক, সেখানে এমন নীতি আরও কোণঠাসা করবে শ্রমিকদের। যে ভাবে মূলত বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে কর্মীদের স্বার্থ-বিরোধী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তার নিন্দা করেছে শ্রমিক সংগঠন সিটু। এআইটিইউসি-র দাবি, অবিলম্বে আইনগুলি প্রত্যাহার হোক। কেন্দ্রও যে ভাবে প্রস্তাবিত চার শ্রম-বিধিতে কর্মীদের স্বার্থের সঙ্গে আপসের ইঙ্গিত দিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।
আরও পড়ুন: রাজ্যকে বিঁধল কেন্দ্র
সভাপতি পদে ফিরছেন? রাহুলের কথায় জল্পনা
রাহুলের হুঁশিয়ারি, যে কোনও নিয়ম বদলই যেন সংবিধান মেনে করা হয়। আর প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়া তো দূর, যোগী সরকার তাঁদের অধিকার হরণে ব্যস্ত।
এরই মধ্যে আজ নিয়োগকারীদের সংগঠন এবং বিভিন্ন বণিকসভার সঙ্গে কথা বলেছেন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার। দৈনিক কাজের সময় ১২ ঘণ্টা করা থেকে শুরু করে কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষার খরচ কমানোর মতো বিভিন্ন দাবি সেখানে তুলেছে শিল্পমহল।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)