ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলার অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছেন অমিত শাহের বিরুদ্ধে। বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদীকে ছেড়ে কেন আলাদা করে শাহকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী। এর সঙ্গে মমতা-মোদীর সাম্প্রতিক বৈঠকের সম্পর্ক রয়েছে কি, সেই ইঙ্গিতও ঠারেঠোরে দেওয়া হচ্ছে।
রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের বক্তব্য, মমতার দল সাধারণত মোদী এবং অমিতকে একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানিয়ে থাকে। দলের রাজ্যসভার নেতা তথা মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বহু টুইট করেছেন ‘মোশা’-কে নিশানা করে। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর ত্রিপুরা সংক্রান্ত মন্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের সদস্য আব্দুল মান্নানের দাবি, “বিজেপি এবং তৃণমূল গোপন বোঝাপড়া রেখে চলছে। ত্রিপুরাও সেই বোঝাপড়ার বাইরে নয়। মোদীর সঙ্গে কথা বলে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন শাহকে দোষ দিচ্ছেন।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর আবার দাবি, “মুখে বিজেপির বিরোধিতা করলেও মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই আরএসএস-এর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেন। সেই কারণেই আগে কখনও বলেছেন বাজপেয়ী ভাল, আডবাণী খারাপ। কখনও আডবাণী ভাল, মোদী খারাপ। এখন কি তবে মোদী ভাল, শাহ খারাপ?” ডেরেকের অবশ্য জবাব, “যাঁরা এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তাঁরা মুখের জায়গায় চোখে মাস্ক পরেছেন! ত্রিপুরায় যা হচ্ছে, সেটা অমিত শাহেরই খেলা।”
তবে বাম-সহ বিরোধীদের একাংশের দাবি, ভোটে জিতে এলেও মমতার রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার ‘বাধ্যবাধকতা’ রয়েছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এখনই উপনির্বাচন করানো নিয়ে আপত্তি তুলছেন। আর এই উপনির্বাচনেই মমতাকে জিতে আসতে হবে। এ ছাড়া, কেন্দ্রীয় সংস্থা রাজ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যে তদন্ত চালাচ্ছে, তার দিকেও ইঙ্গিত ওঁদের। মমতার দলের তরফে এই ‘বাধ্যবাধকতার’ যুক্তি উড়িয়ে বলা হয়েছে, সংসদে প্রতি দিন মোদী এবং অমিত শাহকে একযোগে আক্রমণ করা হচ্ছে। ফলে এই ধরনের জল্পনা হাস্যকর।