গত মে মাস থেকে দুই জনজাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। — ফাইল চিত্র।
শুক্রবার রাত থেকে ফের উত্তপ্ত মণিপুরের রাজাধানী ইম্ফলের কিছু অংশ। পাঁচ স্বেচ্ছাসেবীকে জামিন দিয়েছিল বিশেষ আদালত। অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে এক জনকে ফের গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরেই শুক্রবার রাত থেকে বিক্ষোভকারী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
গত মে মাস থেকে কুকি এবং মেইতেই জনজাতির সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। মারা গিয়েছেন শতাধিক মানুষ। ঘরছাড়া হাজার হাজার নাগরিক। একে অন্যের হামলা থেকে গ্রামকে বাঁচাতে পাহারা দিচ্ছেন দুই জনজাতির তরুণেরা। এ রকম পাঁচ স্বেচ্ছাসেবী যুবককে গত ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুক্রবার পাঁচ জনকে ৫০ হাজার টাকা বন্ডের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়। তার পরেই ফের এক জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ। সরকারের তরফে যদিও ওই স্বেচ্ছাসেবীকে গ্রেফতারের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
পুনরায় ধৃত স্বেচ্ছাসেবীর নাম মোইরাঙ্গথেম আনন্দ। নিষিদ্ধ পিপ্লস লিবারেশন আর্মির সদস্য ছিলেন তিনি। ইম্ফল থানার সামনেই ভেঙে পড়েন আনন্দের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ বলেছে, ১০ বছরের পুরনো একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আমার স্বামীকে।’’ মুক্তি পাওয়া চার স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে ছিলেন এল মাইকেল। তিনি জানান, তাঁরা চার জন লকআপ থেকে বেরিয়ে গেলেও আনন্দকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। তাঁকে আবার রক্ষীরা জেলে নিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারির সময় আনন্দের থেকে ইনসাস রাইফেল এবং ৭৮ রাউন্ড গুলি মিলেছিল।
শনিবার আনন্দের পুনরায় গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে নামেন বহু মানুষ। রাস্তায় টায়ার পোড়ানো হয়। ইম্ফল পশ্চিম জেলার কোয়াকেইথেল, সিংজামেই, উরিপকে প্রতিবাদীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বাহিনী। এর আগে এই পাঁচ জনের মুক্তির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থানায় বিক্ষোভ দেখান বহু মানুষ। নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হল পুলিশকে। তার পরেই শুক্রবার জামিন পান পাঁচ জন। যদিও এক জনকে পরে আবার গ্রেফতার করা হয়।