নদীতেই মৃত্যু হয় হাতিটির। ছবি: রয়টার্স।
কেরলে হাতির মৃত্যু ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তিনিই বিস্ফোরকের জোগান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ফলের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে হাতিটি খাওয়ানোতেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন যুক্ত ছিল বলে ধারণা পুলিশের। গতকালই তিন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিতও করে তদন্তকারী দল। তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযুক্তের বয়স চল্লিশের মধ্যে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের প্রধান সুরেন্দ্র কুমার। পলক্কড়ের পুলিশ প্রধান জি শিব বিক্রম বলেন, ‘‘অভিযুক্ত পেশায় রবার গাছ থেকে লাক্ষা সংগ্রহকারী। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েক জন যুক্ত রয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে।’’
মৃত হাতিটি কেরলের সাইলেন্ট ভ্যালি জাতীয় উদ্যানে থাকত। গর্ভবতী অবস্থায় সেখান থেকে গতমাসে খাবারের খোঁজে পলক্কড় জেলার একটি গ্রামে এসেছিল সে। অভিযোগ, সেখানে বাজি ভরা ফল খেয়ে তার নীচের চোয়াল ও জিভে গুরুতর আঘাত লাগে। পরে ভেলিয়ার নদীতে গিয়ে দাঁড়ায় হাতিটি। বন বিভাগের তরফে তাকে সেখান থেকে তুলে আনার চেষ্টা করা হলেও, তা সফল হয়নি। বরং ওই নদীতেই মৃত্যু হয় হাতিটির।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে বৃদ্ধ, আমেরিকায় ফের পুলিশি নৃশংসতার অভিযোগ
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে বৃদ্ধ, আমেরিকায় ফের পুলিশি নৃশংসতার অভিযোগ
পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, বেশ কয়েক দিন আগেই ওই আঘাত পেয়েছিল হাতিটি। ফলে সে ভাল করে খেতে পারেনি। চেহারাও শীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। ওই এলাকায় খেতের ফসল বুনো শুয়োরের হাত থেকে বাঁচাতে খাবারে বিস্ফোরক ভরে রাখার প্রচলন রয়েছে। তেমন কোনও ফল খেয়েই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ। তবে এখনও পর্যন্ত সে ব্যপারে নিশ্চিত নন বনবিভাগের আধিকারিকরা।