করোনা রোগীদের মৃতদেহ দাহ করতে এগিয়ে এল তবলিঘি জামাত। —ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে ধর্মীয় সমাবেশ করে রাতারাতি ‘অপরাধী’ তকমা সেঁটে গিয়েছিল গায়ে। দেশদ্রোহ এবং খুনের মামলা পর্যন্ত দায়ের হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। সেই বিতর্ক পিছনে ফেলে কোভিডে মৃতদের সৎকারে ঝাঁপিয়ে পড়ল সুন্নি ইসলামি সংগঠন তবলিঘি জামাত। এক চিতায় ১০ জনের দেহ তোলার পরিবর্তে ধর্মীয় আচার মেনে যাতে প্রত্যেক কোভিড রোগীর সৎকার করা যায়, সেই কাজে হাত লাগাল তারা।
এই মুহূর্তে মূলত অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিতেই কোভিড রোগীদের সৎকারের কাজে হাত লাগিয়েছে তবলিঘি জামাত। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেরই দেহ সৎকার করে তারা।
এপ্রিল মাসে সেখানে দৈনিক প্রায় ১৫টি করে শব দাহ করেছেন তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা। আর অতিমারির একেবারে সূচনা পর্ব থেকে সবমিলিয়ে ৫৬৩টি শব দাহ করেছে তবলিঘি জামাত। শুধু এই কাজের জন্যই তিরুপতি ইউনাইটেড মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে কোভিড-১৯ জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি (জেএসি) গঠন করেছে তারা।
তবলিঘি জামাতের সক্রিয় সদস্য জেএমডি গৌসে বলেন, ‘‘গত বছর অতিমারির দায় আমাদের উপর চাপানো হয়েছিল। আর এখন আমাদের প্রশংসা শুনছি।’’ তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তিরুপতিতে তাঁদের ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক তিনটি আলাদা আলাদা দল গড়ে কাজ করছেন। এপ্রিল মাসে এই প্রত্যেকটি দলই কমপক্ষে ১৫টি করে শব দাহ করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গৌসে জানিয়েছেন, বয়স্কদের শবই বেশি আসত। এখন অল্পবয়সিদের দেহও দাহ করতে হচ্ছে। পরিবারগুলিকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। হিন্দু, মুসলিম কিংবা খ্রিস্টান— ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী রীতিনীতি মেনেই দেহ সৎকার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তবলিঘি জামাত। তাদের নিজেদেরই পিপিই কিটের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। মুসলিম না হয়েও বেশ কিছু যুবক তাদের সঙ্গে এই কাজে হাত লাগিয়েছে।