Mamata Banerjee

নীলবাড়িতে এ বার বাড়ল মহিলা মন্ত্রী, মমতা-সহ ৯ জনের মধ্যে নতুন মুখ ৪

সোমবার শপথ নেওয়া ৮ জন মহিলা মন্ত্রীর মধ্যে ১ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৩ স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ৪ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ১৭:১৩
Share:

মমতা-মন্ত্রিসভায় ৮ জন মহিলা। নিজস্ব চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ৪৪ সদস্যের রাজ্য মন্ত্রিসভায় মহিলার সংখ্যা হল ৯। সোমবার শপথ নেওয়া ৪৩ জনের মন্ত্রিসভার ৮ জন মহিলা মন্ত্রীর মধ্যে ১ জন পূর্ণমন্ত্রী, ৩ স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ৪ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন।

Advertisement

২০১৬-র ২৭ মে রেড রোডে মমতার সঙ্গে মাত্র ২ জন মহিলা মন্ত্রী (শশী পাঁজা এবং সন্ধ্যারানি টুডু) শপথ নিয়েছিলেন। এ বার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুর জয়ের পিছনে মহিলা ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে নয়া মন্ত্রিসভায় সেই সমর্থনের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।

৮ মন্ত্রীর মধ্যে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন এক মাত্র শশী। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রত্ন দে নাগ এবং সন্ধ্যারানি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। শিউলি সাহা, সাবিনা ইয়াসমিন, বীরবাহা হাঁসদা এবং জ্যোৎস্না মান্ডি প্রতিমন্ত্রীর পদ পেয়েছেন। এঁদের মধ্যে রত্না, শিউলি, বীরবাহা এবং জোৎস্না এই প্রথম রাজ্য মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন।

Advertisement

নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দফতরের পূর্ণমন্ত্রী শশী এর আগের দু’টি তৃণমূল সরকারেও মন্ত্রী ছিলেন। শ্যমপুকুরের বিধায়ক এ বারও তাঁর পুরনো দফতরই পেয়েছেন।

২০১১-য় দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জেতার কিছুদিন পরে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন চন্দ্রিমা। ২০১৬-য় হেরে গেলেও ের দক্ষিণ কাঁফের দক্ষিণ কাঁথি থেকে বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতে প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। এ বার পুর ও নগরোন্নয়নের স্বাধীন দায়িত্বের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং শরণার্থী ও পুনর্বাসন দফতর পেয়েছেন তিনি।

২০১১-য় পুরুলিয়ার মানবাজার কেন্দ্রে জেতেন সন্ধ্যারানি। ২০১৬-য় ফের জেতার পরে প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন মমতা। এ বার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নের স্বাধীন দায়িত্বের পাশাপাশি পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন তিনি।

হুগলির প্রাক্তন সাংসদ রত্না এ বার হুগলির পান্ডুয়া থেকে জিতেছেন তিনি। তাঁর বাবা গোপাল দাস নাগ ছিলেন কংগ্রেস জমানার মন্ত্রী। পেশায় চিকিৎসক রত্নার হাতে রয়েছে পরিবেশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জৈব প্রযুক্তি বিষয়ক দফতর।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের দ্বিতীয়বারের বিধায়ক শিউলি হয়েছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। নন্দীগ্রামের মেয়ে শিউলি ২০১১-য় প্রথম পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া কেন্দ্রে জিতেছিলেন।

ঝাড়গ্রাম থেকে এ বারই প্রথম বিধায়ক হয়েছেন সাঁওতালি চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী বীরবাহা। বন প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। বীরবাহার বাবা প্রয়াত নরেন হাঁসদা এবং মা চুনীবালা দু’জনেই ঝাড়খণ্ড পার্টির বিধায়ক ছিলেন।

বাঁকুড়ার রানিবাঁধ কেন্দ্রে ২০১৬ সালে সিপিএম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমকে হারিয়ে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন জোৎস্না। এ বার খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে তাঁকে।

মালদহের মোথাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ২০১১ এবং ২০১৬ সালে ওই কেন্দ্র থেকেই কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন। ২০১১-য় জোট মন্ত্রিসভায় শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এ বার হয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন এবং সেচ ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement