হরি নিবাসে পরিবারের সঙ্গে ফারুক আবদুল্লা। শনিবার। এএফপি
প্রায় সাত মাস আগে গৃহবন্দি করা হয়েছিল বাবা-ছেলে, দু’জনকেই। গত কাল মুক্তি পেয়েছেন ফারুক আবদুল্লা। আজ হরি নিবাসে গৃহবন্দি ওমর আবদুল্লার সঙ্গে দেখা করলেন তিনি।
গত কাল মুক্তি পাওয়ার পরেই ছেলের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলেন ফারুক। সেই অনুমতি দেয় জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। আজ প্রথমে ডাল লেকের তীরে শেখ আবদুল্লার সমাধিস্থলে যান ফারুক। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মলি ও নাতি আদিম। কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী ‘কারাকুল’ টুপি আর সানগ্লাসে কিছুটা হলেও পুরনো মেজাজে দেখা গিয়েছে ফারুককে।
এর পরে হরি নিবাসে গিয়ে ওমরের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সূত্রের খবর, দেখা হতেই বাবাকে জড়িয়ে ধরেন ওমর। তার পরে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন তাঁরা। পরে ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। আজাদ বলেন, ‘‘আমি খুবই খুশি। প্রায় সাত মাস পরে ফারুক আবদুল্লার সঙ্গে দেখা হল। তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বন্দি করে রাখার কারণ স্পষ্ট নয়।’’
ফারুক গত কালই জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কথা বলার আগে অন্য নেতাদের মুক্তি চান তিনি। কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে সরব হবেন বলেও মন্তব্য করেছেন।
সূত্রের খবর, দিল্লি হিংসা-সহ নানা বিষয়ে চাপে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ফলে সংঘাতের নতুন রাস্তা আর খুলতে চাইছেন না সরকারের শীর্ষ কর্তারা। বরং এখন কাশ্মীরি নেতাদের সম্পর্কে কিছুটা নরম মনোভাব নিয়েই চলতে পারে তারা। এক কর্তার কথায়, ‘‘সাত মাসেরও বেশি সময় ফারুকের মতো প্রবীণ নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। এর পরে আদালতে সরকারের মুখ পুড়তে পারে। তাই তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’