(বাঁ দিকে) মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা (ডান দিকে) —ফাইল ছবি
লক্ষ্য এক হলে, কাশ্মীরের এনসি-কংগ্রেস জোটকে সমর্থন করতেও তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। শনিবার মুফতির এই ঘোষণার পরেই রবিবার এনসি নেতা ওমর দাবি করলেন, এনসি এবং পিডিপির লক্ষ্যের মধ্যে বিশেষ ফারাক নেই। এই যুক্তিতে মেহবুবাকে এনসি-কংগ্রেস জোটপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার আর্জি জানান ওমর।
কাশ্মীরে ভোটঘোষণার পর রবিবার থেকে প্রচার শুরু করলেন ওমর। আবদুল্লা পরিবারের ‘গড়’ বলে পরিচিত মধ্য কাশ্মীরের গন্ডেরবালে দাঁড়িয়ে ওমর বলেন, “তাঁরা (পিডিপি) বলেছেন যদি এনসি-কংগ্রেস জোট তাঁদের লক্ষ্য এবং কর্মসূচির বিষয়গুলি মেনে নেয়, তবে প্রার্থী দেওয়া হবে না।” তার পরেই পিডিপি নেতৃত্বের উদ্দেশে ওমরের বার্তা, “আপনারা ইতিমধ্যেই আমাদের লক্ষ্যগুলি মেনে নিয়েছেন। তাই জোট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নিজেরা প্রার্থী দেবেন না। বরং আসুন আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করি।”
এই সূত্রেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর জানান, তাঁদের দলের নির্বাচনী ইস্তাহার অন্য দলগুলি নকল করেছে। নির্দিষ্ট কোনও দলের নাম না করলেও ফারুক-পুত্রের নিশানায় ছিল মেহবুবার দলই। এই প্রসঙ্গে প্রতিটি পরিবারকে বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ধরে পুনরায় সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি। দল ক্ষমতায় ফিরলে এই বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল এনসি। শনিবার ইস্তাহার প্রকাশ করে মেহবুবাও জানান, তাঁর দল কাশ্মীরের ক্ষমতায় ফিরলে এই প্রতিশ্রুতিগুলি রক্ষা করা হবে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর মাসের ১৮, ২৫ এবং অক্টোবর মাসের ১ তারিখ— তিন দফায় জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এবং এনসি-র মধ্যে জোট চূড়়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনের মতোই এই জোটে নেই ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দল পিডিপি। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়েছিল পিডিপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মেহবুবার পিতা, অধুনা প্রয়াত মুফতি মহম্মদ সইদ। ২০১৬ সালে মুফতির মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী হন মেয়ে মেহবুবা। ২০১৮ সালের জুন মাসে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে বিজেপি। ওই বছরেরই নভেম্বর মাসে বিধানসভা ভেঙে দেন কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তার পর দীর্ঘ ছ’বছর জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও নির্বাচিত সরকার নেই।