জোড়া দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। —প্রতীকী ছবি।
সাতসকালে এলাকার একটি গাছে স্থানীয় এক বাসিন্দার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে তাঁর স্ত্রীকে খবর দিতে গিয়েছিলেন পাড়াপ্রতিবেশীরা। তবে স্ত্রীকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে দম্পতির বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন তাঁরা। সেখানে পড়েছিল মৃতের স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ। অভিযোগ, দাম্পত্যকলহের জেরে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বাসিন্দা। মঙ্গলবারের ওড়িশার ভদ্রক জেলায় এই ঘটনার নেপথ্যে আসলে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে দামনগর থানা এলাকার বাসিন্দা ভাস্কর সমলের বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরে একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান কয়েক জন গ্রামবাসী। সঙ্গে সঙ্গে ভাস্করের স্ত্রী সুস্মিতাকে খবর দিতে দম্পতির বাড়িতে যান তাঁরা। তবে ওই বাড়ির দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ করা ছিল। খবর দেওয়া হয় ভাস্করের শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের। অনেক ক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজি করেও সুস্মিতাকে দেখতে না পেয়ে অবশেষে ওই বাড়ির দরজা ভেঙে ফেলেন গ্রামবাসীরা। ওই তালাবন্ধ ঘরে পড়েছিল সুস্মিতার রক্তাক্ত দেহ। খবর পেয়ে দামনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জোড়া দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দম্পতির ঘর থেকে একটি রক্তমাখা কাটারি মিলেছে।
সংবাদমাধ্যমের কাছে সুস্মিতার বাবার দাবি, ‘‘আমার মেয়েকে প্রায়শই মারধর করতেন জামাই। পুলিশ-প্রশাসনের মধ্যস্থতায় দাম্পত্যকলহ মেটানোর চেষ্টাও করেছিলাম আমরা। তবে কোনও লাভ হয়নি।’’
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই কাটারি দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ভাস্কর। যদিও এই ঘটনার নেপথ্য কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।