বুধবার সেনা দিবসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ছবি: ফেসবুক।
এত দিন পর্যন্ত সাধারণ পর্যটকদের জন্য কার্যত নিষিদ্ধ ছিল ওই এলাকাগুলি। দেশের সীমান্তবর্তী ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্রগুলিকে এ বার পর্যটনক্ষেত্র হিসাবে গড়ে তুলতে সক্রিয় হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এই উদ্দেশ্যে বুধবার সেনা দিবসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ নামে একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেছেন।
আশির দশকে সিয়াচেন হিমাবাহ, নব্বইয়ের দশকে কার্গিল কিংবা হালফিলে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় আগ্রাসী শত্রুসেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা যে বীরত্বের সাক্ষ্য রেখেছিল, তা দেশের মানুষকে জানার সুযোগ করে দিতেই এই পদক্ষেপ বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। ভারতীয় সেনার এক্স পোস্টে ভ্রমণার্থীদের উদ্দেশে আহ্বান— ‘‘সেই পবিত্র স্থানগুলি দর্শন করুন যেখানে আমাদের বীর সেনারা মাতৃভূমির জন্য লড়াই করেছিলেন।’’ প্রাথমিক ভাবে ৭৭৮টি যুদ্ধক্ষেত্রকে পর্যটনের জন্য উন্মুক্ত করার কথা জানানো হয়েছে সেনার তরফে।
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র (বর্তমানে যা হরিয়ানায়) পর্যটকদের পাশাপাশি তীর্থযাত্রীদেরও যুগ যুগ ধরে আকর্ষণ করে এসেছে। মোগল সম্রাট আকবর এবং রানা প্রতাপের ঐতিহাসিক হলদিঘাটি যুদ্ধক্ষেত্রে বহু ধরেই পর্যটনস্থল হিসাবে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম সারিতে রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে বলিউডের ছবি ‘বর্ডার’ জয়সলমেরের মরুভূমিতে ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে রক্তসিক্ত লঙ্গেয়ালাকে পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ওয়ার মেমোরিয়াল’। এ বার কি টলোলিং, টাইগার হিল, সালতারো রিজ়, পিপি-১৪-র পালা?