দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। —ফাইল চিত্র
মহারাষ্ট্রে লোকসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবির দায় নিয়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এ বার ইস্তফা-জল্পনায় নিজেই জল ঢাললেন তিনি। জানালেন যে, তিনি পালাচ্ছেন না। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর উপরে আস্থা রাখায় এ বার পূর্ণ উদ্যমে কাজ করবেন বলেও জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।
শনিবার বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীস বলেন, “আমি এই লোকসভা ভোটে বিজেপিকে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। তাই বলেছিলাম, এই হারের জন্য দায়ী আমি। আমি পদত্যাগ করার অনুমতি চেয়েছিলাম, যাতে বিধানসভা ভোটের আগে একদম তৃণমূল স্তর থেকে কাজ করতে পারি। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব আমার উপরে আস্থা রেখেছেন। আমি পালাচ্ছি না। মাথায় আমার একটি পরিকল্পনা রয়েছে।”
মহারাষ্ট্রে ৪৮টি আসনের মধ্যে গত লোকসভা ভোটে ৪১টি আসন জিতেছিল এনডিএ। সেই সময় এনডিএতে ছিল বিজেপি এবং উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন অবিভক্ত শিবসেনা। এ বছর সেই সমীকরণ বদলেছে। এখন এনডিএর শরিক শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি। এ বছর নতুন এনডিএ জোট মহারাষ্ট্রে জিতেছে সাকুল্যে ১৭টি আসন। যার মধ্যে বিজেপির হাতে এসেছে কেবল ন’টি আসন। অন্য দিকে মহারাষ্ট্রে ভাল ফল করেছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। তারা পেয়েছে ৩০টি আসন। মঙ্গলবার এই ফলঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খারাপ ফলের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রে বিজেপির শীর্ষনেতা ফড়ণবীস।
শুক্রবার দেবেন্দ্র অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে ইস্তফার ব্যাপারে কথা বলেন। কিন্তু শাহ তাঁকে নিরস্ত করেন। সূত্রের খবর, শাহ তাঁকে এ-ও বলেন, এখনই যদি তিনি উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন, তবে মহারাষ্ট্রে বিজেপি কর্মীরা আরও আশাহত হয়ে পড়বেন। শাহি বৈঠকের পরের দিনই ইস্তফা নিয়ে নিজের মতবদলের কথা জানালেন ফড়ণবীস।