দেশে এ বার বর্ষা কেমন হবে, তার পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। প্রতীকী ছবি।
এপ্রিলের গরমে নাজেহাল সকলে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চাঁদিফাটা রোদে টেকা দায়! এই অস্বস্তিকর গরমে বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করে বসে সকলে। এর মধ্যেই এ বার বর্ষার খবর জানাল মৌসম ভবন। চলতি বছরে দেশে বর্ষা স্বাভাবিক হবে। মঙ্গলবার এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
যদিও ‘স্কাইমেট’ নামে একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাস, এই বছর বর্ষা স্বাভাবিকের থেকে কম হবে। তাদের মতে, ‘লা নিনা’ পরিস্থিতির শেষে ‘এল নিনো’ হতে পারে। ‘এল নিনো’ সক্রিয় হলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ে আর তা দুর্বল হলে বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় বাড়তে থাকে শীতলতা। তাকেই বলে ‘লা নিনা’। জুলাই মাসে ‘এল নিনো’ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যার প্রভাব পড়তে পারে বর্ষার মরসুমে, এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে তারা। তবে মৌসম ভবন জানিয়েছে, এল নিনোর প্রভাব পড়বে না বর্ষায়। দেশে বর্ষা এ বার স্বাভাবিক হবে বলেই আশা।
দেশে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় জুন মাস। ১ জুন কেরলে প্রথম বর্ষা ঢোকে। হিসেব মতো বর্ষা আসতে এখনও ২ মাস বাকি। তার আগেই বর্ষা নিয়ে পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। বর্ষার বৃষ্টির উপর অনেকটা নির্ভর করে থাকেন কৃষকরা। ফলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে অনেকটাই স্বস্তিতে তাঁরা।
এই মুহূর্তে বৃষ্টি অধরা। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। ইতিমধ্যেই মৌসম ভবন জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। পশ্চিমবঙ্গেও গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে বর্ষা নিয়ে কিছুটা আশার বাণী শোনাল মৌসম ভবন।