প্রতীকী ছবি।
হস্টেলে ঢুকে এক কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই এক অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের সতনা জেলার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রবীন্দ্র সেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবীন্দ্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও স্কুলের অধ্যক্ষের দাবি, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, পুত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর তাঁরা অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু সেই অভিযোগ নিতে চাননি তিনি। এমনও দাবি করেছে কিশোরের পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, রীবা জেলার বাসিন্দা ওই কিশোর। সতনার একটি আবাসিক স্কুলে গত বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে। স্কুলের হস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করে সে। বর্তমানে ছাত্রটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার দাবি, দিন কয়েক আগে শরীর খারাপ লাগায় স্কুলে না গিয়ে হস্টেলের ঘরে শুয়ে ছিল সে। অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়ে ওই অশিক্ষক কর্মী তার ঘরে আসেন এবং ধর্ষণ করেন। শুধু তাই-ই নয়, সেই ঘটনার পর ছাত্রটিকে শাসিয়ে যান, জানাজানি হলে তাকে খুন করা হবে।
এই ঘটনার পরই বাবা-মাকে হস্টেলে আসার কথা বলে ছাত্রটি। তাঁর বাবা-মা হস্টেলে আসার পর পুত্রের কাছ থেকে গোটা ঘটনাটি শোনেন। তার পরই তাঁরা অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি বলে দাবি ছাত্রটির অভিভাবকদের। এর পরই তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়তেই তিনি গা ঢাকা দেন। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।