প্রতীকি ছবি।
কোয়ম্বত্তূরে মহিলা বায়ুসেনা অফিসারের শরীরে ধর্ষণের প্রমাণ পেতে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা হয় বলে অভিযোগ। আট বছর আগে যে পরীক্ষাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেই বিতর্কিত পরীক্ষা কেন করা হয়েছিল বায়ুসেনার মহিলা আধিকারিকের উপর? এই প্রশ্নে যখন তোলপাড় দেশ তখন মুখ খুললেন বায়ুসেনা প্রধান। বললেন, ‘‘কোয়ম্বত্তূর ধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতা আধিকারিকের উপর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা হয়নি।’’
২০ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ু পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এ নির্যাতিতা বায়ুসেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর সময় তাঁর কথা বিশ্বাস করতে পারেননি প্রশাসনিক কর্তারা। তার পরই ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তার পরীক্ষা হিসেবে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করাতে বলেন।
পরে বায়ুসেনা আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তামিলনা়ড়ু পুলিশ ২৯ বছরের এক ফ্লাইট লেফটেন্যান্টকে গ্রেফতার করে। সেই সময় নির্যাতিতার উপর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, কেন সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত নিষিদ্ধ পরীক্ষায় তালিকায় থাকা ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করানো হবে? সেই প্রেক্ষিতেই বায়ুসেনা প্রধান জানিয়ে দিলেন, সেদিন নির্যাতিতা মহিলার উপর ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা হয়নি।