পান্ডুয়া য় বিজেপির এক কর্মসূচিতে এলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সঙ্গে প্রাক্তন সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
গত লোকসভা ভোটে হারের পরে দলের হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারকে দোষারোপ করেছিলেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। এ বার লকেটের হারের নেপথ্যে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করলেন অভিনেতা তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীও। সদস্যপদ সংগ্রহের হার নিয়েও তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন।
শনিবার পান্ডুয়ায় দলের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে এসে মিঠুন বলেন, ‘‘আমরা জিততে পারেনি, এর একমাত্র কারণ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যেটা খুবই দুঃখের খবর। যদি সবাই কাজ করতেন, তা হলে লকেটকে হারতে হত না। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে।’’
লকেট কর্মসূচিতে ছিলেন। ছিলেন তুষারও। মিঠুনের মন্তব্য নিয়ে লকেটের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যা বলার দাদা (মিঠুন) বলেছেন। আমি কিছু বলব না। দলীয় ভাবে আলোচনা করা হবে।’’ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উড়িয়ে তুষারের দাবি, ‘‘কয়েক জন হয়তো নিষ্ক্রিয় ছিলেন। বাকিরা দলের কথা ভেবে লড়াই করেছেন। সমন্বয় না থাকলে আমাদের সদস্য ৫১ হাজার হত না।’’
মিঠুনের অবশ্য বক্তব্য, এখানে সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা তিন লক্ষ। এখনও পর্যন্ত ৫১ হাজার হয়েছে। সক্রিয় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা তিন হাজার। হয়েছেন ৩৬৩ জন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘বস’ সম্বোধন করে মিঠুনের প্রশ্ন, ‘‘বসের নির্দেশে এসেছি। বসকে কি জবাব দেব?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমাকে কী কী না অফার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বস আমাকে বলে রেখেছেন, ক্ষমা নয়, যাঁরা কাজ করবেন না, তাঁদের সরে যেতে হবে।’’
দলীয় কর্মীরা মিঠুনের কাছে দলে সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ জানান। সদস্যপদ কম হওয়া নিয়ে তুষারের ব্যাখ্যা, আগে খাতায় লিখে, মোবাইল ফোনে মিসড্ কল দিয়ে সদস্য হওয়া যেত। এখন মোবাইলে নাম নথিবদ্ধ করাতে হচ্ছে। প্রযুক্তিগত কারণে সমস্যা হচ্ছে।
পান্ডুয়ার পরে আরামবাগের দৌতলপুরে দলের একই কর্মসূচি গিয়ে সদস্যপদ সংগ্রহের কাজে গতি আনার কথা বলেন মিঠুন। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের ১ লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা। ৮০ হাজার হয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চলবে।’’ রাতে চণ্ডীতলাতেও যান মিঠুন।