এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এক যুবকের সঙ্গে গ্রামেরই যুবতীর প্রণয়ে সম্পর্কের জেরে যুবকের বাড়িতে হামলা এবং তাঁর মাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগ উঠল নন্দকুমারের শ্যামসুন্দরপুরে। ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা। পুলিশ সেই মতো তদন্ত শুরু করলেও শনিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সাওড়াবেড়িয়া জালপাই-২ পঞ্চায়েতের শ্যামসুন্দরপুরের বাসিন্দা এক যুবক গ্রামেরই এক যুবতীর সম্পর্ক রয়েছে। যুবতীর অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও ওই যুবতী সম্প্রতি শ্যামসুন্দর গ্রামের ওই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। এই নিয়ে যুবতীর বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যুবকের পরিবারের বিরোধ বাঁধে। শুক্রবার সকালে যুবতীর পরিজন, প্রতিবেশীরা সশস্ত্র অবস্থায় যুবকের বাড়িতে চড়াও হন। বাড়িতে থাকা যুবকের মায়ের কাছে যুবতীকে ফিরিয়ে আনার দাবি করেন।
দাবি, ওই সময় যুবকের মাকে হুমকি দেওয়া হয়। মহিলা ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে অভিযুক্তরা দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁর পায়ে ও মাথায় আঘাত, দড়ি দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। মহিলা অভিযোগে জানিয়েছেন, কাঁটারি দিয়ে তাঁর পায়ে কোপ মারা হয়। এতে বাঁ’পায়ের একটি আঙুল কেটে যায়। অভিযুক্তরা তাঁকে আহত অবস্থায় বিবস্ত্র করে চুলের মুঠি ধরে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যায়। মহিলার কথায়, ‘‘আমাদের বাড়ি সংলগ্ন মুদি দোকানের জিনিস ও নগদ টাকাও লুট করে নিয়ে যায়।’’
ঘটনার খবর পেয়ে নন্দকুমার থানার পুলিশ গিয়ে আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। তাঁকে প্রথমে নন্দকুমারের খেজুরবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।