কাশ্মীর নিয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। উপত্যকার হৃত মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে দেশের অন্দরে যখন দোলাচল, সেই সময় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-কে এমনই বার্তা দিল ভারত। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অপ্রয়োজনীয়। একই সঙ্গে পাকিস্তানকেও নিশানা করেছে ভারত। বলা হয়েছে, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ওআইসি-কে ব্যবহার করতে চাইছে কেউ কেউ। এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সংগঠনটির।
গত সোমবার সৌদি আরবের জেড্ডায় ভারতের রাষ্ট্রদূত অউসফ সইদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ওআইসি-র সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আল-ওথাইমিনের। তার পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইউসুফ জানান, ভারতে মুসলিমদের বর্তমান অবস্থা এবং কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং ওআইসি-র নির্দেশিকা মেনে এ ব্যাপারে যেন একতরফা পদক্ষেপ না করা হয়, তা জানানো হয়েছে। ভারতে বিশেষ প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তাবও তিনি দিয়েছেন বলে জানান ইউসুফ।
কিন্তু দিল্লি সূত্রে খবর, ইউসুফের এই প্রস্তাবে সায় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রকে উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তা নিয়ে কোনও তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ ভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতেই অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করা হয়। কয়েকটি সদস্য দেশকে সন্তুষ্ট করতেই কাশ্মীরে প্রতিনিধি পাঠানোর কথা বলছে ওআইসি। ভারতে মুসলিমদের অবস্থা ঘিরে এই উদ্বেগ পুরোটাই সাজানো, একটি বিশেষ শক্তি পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইছে বলেও অভিযোগ দিল্লির।
শুধু তাই নয়, ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিল ওআইসি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা-ও পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে। সীমান্ত বরাবর জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্ন নেই এবং যদিও বা আলোচনা হয়, সেখানে কাশ্মীর প্রসঙ্গ কোনও ভাবেই টানা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।