সঞ্জয় রাউত। ছবি: সংগৃহীত।
শিবসেনার মুখপত্রে ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছিল শনিবারই। সোমবার দলের মুখপত্র সঞ্জয় রাউত সেই কথাটাই ফের স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেস ছাড়া জাতীয় স্তরে কোনও বিজেপি বিরোধী জোট গঠন সম্ভব নয়।
সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে সম্ভাব্য বিরোধী জোটের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমি রাহুল গাঁধীকে জোটের নেতৃত্ব দিতে বলেছি।’’ তবে বিরোধী জোটের দলগুলিই নেতৃত্বের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মুম্বই সফরের পর শিবসেনা মুখপাত্রের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তৃণমূলের নাম না করে মঙ্গলবার সঞ্জয় আরও বলেন, ‘‘বিজেপি-র বিরুদ্ধে একটাই একটাই বিরোধী জোট থাকতে হবে। দু’টি বা তিনটি জোট হলে বিজেপি-রই লাভ হবে।’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুম্বই গিয়ে মমতা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটকে ‘অস্তিত্বহীন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই সফরে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য এবং সঞ্জয়ের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ফলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা হয়েছিল, জাতীয় স্তরে একটি অকংগ্রেসি আঞ্চলিক জোট গড়ার জন্য ধীরে ধীরে উদ্যোগী হচ্ছেন মমতা। যার নেতৃত্বের রাশ তাঁর হাতেই থাকবে।
কিন্তু শনিবার শিবসেনা মুখপত্রের সম্পাদকীয় স্তম্ভে লেখা হয়, বাংলায় ‘বাঘের মতো’ লড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-কে একক ক্ষমতায় হারিয়েছেন তিনি। এ জন্য তাঁর প্রশংসা প্রাপ্য। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসকে ‘ব্রাত্য’ করে রাখলে পক্ষান্তরে তা বিজেপি-র মতো ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত শক্ত করবে।