ছবি: সংগৃহীত।
তিন তালাক আইনে আগাম জামিনের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সে ক্ষেত্রে আদালতকে আগে অভিযোগকারিণীর বক্তব্য শুনতে হবে।
মুসলিম মহিলা আইন, ২০১৯ (বিবাহের অধিকার সুরক্ষা) অনুযায়ী তিন তালাক প্রক্রিয়া ফৌজদারি অপরাধ। তাৎক্ষণিক তিন তালাকের ক্ষেত্রে স্বামীর তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আইনটি শুধু মুসলিম স্বামীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে আদালত। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, সংশ্লিষ্ট আইনের কিছু ধারা এবং ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন, এমন কোনও ব্যক্তিকে আগাম জামিন দেওয়া যেতে পারে।
ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বেঞ্চ জানিয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ৪৩৮ ধারা এবং ৭ (সি) ধারা অনুযায়ীই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, আগাম জামিন দেওয়া হবে কি না, তা সম্পূর্ণ ভাবেই আদালতের বিবেচনাধীন। পাশাপাশি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহিলাকেও নোটিস দেওয়া হবে।
গত বছরের অগস্টে স্বামীর বিরুদ্ধে তিন তালাকের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মুসলিম মহিলা। অভিযোগ দায়ের করা হয় শাশুড়ির বিরুদ্ধেও। এর পরেই হেনস্থার অভিযোগ তুলে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারিণীর শাশুড়ি। হাইকোর্ট আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। সেই মামলার সুবাদেই তিন তালাকের ক্ষেত্রে আগাম জামিন নিয়ে এই উল্লেখযোগ্য রায় দিল আদালত। এ দিন বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রাথমিক বিশ্লেষণের নিরিখে মনে করা হচ্ছে, তিন তালাকের জন্য দায়ী শুধুমাত্র স্বামীই। এ ক্ষেত্রে শাশুড়িকে কখনওই দোষী গণ্য করা যায় না।