বর্ষবরণের রাতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় দিল্লির বাসিন্দা অঞ্জলি সিংহের। ছবি: সংগৃহীত।
অঞ্জলি সিংহের মৃত্যুর পর তাঁর মা রেখা এবং আত্মীয়রা অভিযোগ তুলেছেন, এটা নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়। তাঁদের মেয়েকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে, অঞ্জলির যৌনাঙ্গে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এই ঘটনার সঙ্গে যৌন হেনস্থার কোনও সম্পর্ক নেই।
যদিও ঘটনার পর পরই পুলিশ দাবি করে, এটি সাধারণ একটি দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা। মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজে মৃতার দেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়। তবে আরও পরীক্ষার জন্য অঞ্জলির লালার নমুনা এবং জিন্সের টুকরো সংরক্ষিত করা হবে বলে ওই সূত্রের খবর।
বর্ষবরণের রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় দিল্লির আমন বিহারের বাসিন্দা অঞ্জলির। অভিযোগ, সেই গাড়ি তাঁকে ১৩ কিলোমিটার হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাস্তা থেকে অঞ্জলির নগ্ন দেহ উদ্ধার হওয়ার পর মেয়ের মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁর মা রেখা। তাঁর অভিযোগ, এটি সাধারণ কোনও দুর্ঘটনার বিষয় নয়। তাঁর মেয়েকে যৌন হেনস্থার পর খুন করা হয়েছে। তার পর রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।
তবে পুলিশের ‘দুর্ঘটনা তত্ত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অঞ্জলির পরিবার। তাঁর মা রেখার কথায়, “মেয়েকে নগ্ন অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ও টি-শার্ট আর জ্যাকেট পরে গিয়েছিল। কিন্তু দেহ যখন উদ্ধার হল, তখন শরীরে একটা পোশাকও ছিল না। এটা কী করে সম্ভব হল?”
অন্য দিকে, অঞ্জলির এক আত্মীয়ের অভিযোগ, যে ভাবে অঞ্জলিকে পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে বোঝাই যাচ্ছে ওকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। যদি এটা দুর্ঘটনাই হত, তা হলে গাড়ির আরোহীরা ওকে নিশ্চয়ই হাসপাতালে ভর্তি করাতেন। কিন্তু তা করা হয়নি। তাঁর কথায়, “আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। আমাদের মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাই।”
এক সংবাদমাধ্যমকে রেখা বলেছিলেন, “ফুলের মতো মেয়ে ছিল অঞ্জলি। মর্গে ওকে যে অবস্থায় দেখেছি ব্যাখ্যা করতে পারব না। কী ভাবে ওই পাঁচ জন ওকে ফেলে রেখে চলে যেতে পারল? আমি এখনও বিশ্বাস করি ওকে ধর্ষণ করা হয়েছে।”