১৫ বছরের বিধির গেরোয় হলুদ ট্যাক্সি শহরের রাস্তা থেকে বিলুপ্তির মুখে। —ফাইল চিত্র।
শহরের রাস্তা থেকে হলুদ ট্যাক্সি উধাও হয়ে যাওয়া ঠেকাতে এ বার একই শ্রেণির অন্যান্য যাত্রিবাহী গাড়ি হলুদ রং করার ছাড়পত্র দিল সরকার। এর ফলে অ্যাম্বাসাডরের মতো অন্য যাত্রিবাহী গাড়িও হলুদ রং করে ট্যাক্সি হিসাবে চালানো যাবে।
১৫ বছরের বিধির গেরোয় হলুদ ট্যাক্সি শহরের রাস্তা থেকে বিলুপ্তির মুখে। হলুদ ট্যাক্সি রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছে একাধিক সংগঠন। এআইটিইউসি অনুমোদিত ট্যাক্সি অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন এ নিয়ে যৌথ মঞ্চ গড়ে পরিবহণ দফতরের দ্বারস্থ হয়। এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি সংগঠন এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে চিঠি দেয়। তাতে বাণিজ্যিক যাত্রিবাহী গাড়ি এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অ্যাম্বাসাডর গাড়িকে (যার মেয়াদ এখনও ফুরোয়নি) শর্তসাপেক্ষে হলুদ রং করে ট্যাক্সি হিসাবে চলতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ জারি করা হয় বলে খবর।
এআইটিইউসি-র পরিবহণকর্মী সংগঠনের সর্বভারতীয় নেতা তথা ট্যাক্সি সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নওলকিশোর শ্রীবাস্তব জানান, সরকারি সিদ্ধান্তকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। ট্যাক্সিচালকেরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন। তবে, ওই একই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও বেসরকারি সংস্থা মাসে ২০টি বা তার বেশি সংখ্যক গাড়ি নথিভুক্ত করলে তাদের ক্ষেত্রে গাড়ির ইচ্ছেমতো রং করা, গাড়ির গায়ে নকশা আঁকা ও মাথায় বিশেষ বোর্ড বসানোর স্বাধীনতা থাকবে। নওলকিশোর বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থাকে এ ভাবে ছাড় দেওয়া নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি প্রত্যাহারের তীব্র বিরোধী আমরা। এই নির্দেশিকা খতিয়ে দেখা হোক।’’ সরকারি নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছে প্রোগ্রেসিভ ট্যাক্সিমেন’স ইউনিয়নও।