ধরাভি বস্তি। ফাইল ছবি।
মুম্বইয়ের ধরাভি এলাকা। যার অধিকাংশই ঘিঞ্জি বস্তি। গত ২৪ ঘণ্টায় এক জনও নতুন কোভিড আক্রান্ত সেখানে পাওয়া যায়নি বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন স্থানীয় এক প্রশাসনিক কর্তা। এপ্রিলের পর প্রথমবারের জন্য ঘটল এই ঘটনা। যা মুম্বইয়ের কোভিড পরিস্থিতির আশাপ্রদ দিক হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
ধরাভি বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ভারতের সবথেকে বড় বস্তি। আড়াই বর্গ কিলোমিটার জুড়ে থাকা এই বস্তিতে গাদাগাদি হয়ে থাকেন সাড়ে ৬ লক্ষের বেশি মানুষ। করোনা-কালের শুরুর দিকে মনে করা হয়েছিল ঘন জনবসতির কারণে করোনাভাইরাস অনেক বেশি মানুষকে আক্রান্ত করবে এখানে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। যা এখনও বিস্ময়। শনিবার অবধি মোট ৩ হাজার ৭৮৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এখানে। তার মধ্যে ৩ হাজার ৪৬৪ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ। এখন সেখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মাত্র ১২। তাঁদের মধ্যে ৮ জন হোম আইসোলেশনে আছেন। বাকি ৪ জন একটি কোভিড কেয়ার সেন্টারে রয়েছেন। বৃহস্পতিবারের পর থেকে আর কেউ নতুন করে আক্রান্ত হননি এই এলাকায়।
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকদিন ধরেই কমছে। কমতে কমতে তা ২৫ হাজারের নীচে নেমে এসেছে। মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ এক সময় ২০ হাজারে পৌঁছেছিল। কিন্তু এখন তা সাড়ে ৩ হাজারের আশপাশে। দেশে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ছাড়ালেও তার মধ্যে ৯৭ লক্ষই সুস্থ হয়েছেন। যদিও সম্প্রতি ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মিলিছে। যার সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বেশি বলে একটি অংশের দাবি। এর জন্য নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে সে দেশে। সে দেশে বিমান আসা বন্ধ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। পাশাপাশি ব্রিটেন, আমেরিকাতে ইতিমধ্যে দেওয়া শুরু হয়েছে করোনা টিকা। আগামী বছরের শুরু থেকে ভারতেও করোনা টিকা দেওয়া হবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: ফোন-লাইন কেটে, ব্যারিকেড গুঁড়িয়ে এগোচ্ছেন কৃষকরা
আরও পড়ুন: একুশেই মেয়র, নজির গড়ছেন কেরলের আর্যা