Nitish Kumar

‘আমার তেমন কোনও ইচ্ছে নেই, সমর্থকদেরও বলতে বারণ করি’, প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে বলছেন নীতীশ

তেজস্বীর দাবি, নীতীশ এই মুহূর্তে আগামী লোকসভার জন্য বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। তাঁর নিজের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই বলেও দাবি লালুপুত্রের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৭
Share:

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই নীতীশের। — ফাইল ছবি।

তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও আকাঙ্খা নেই। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনই জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, তিনি সমর্থকদেরও এমন ভাবতে বারণ করেন। কিন্তু কেউ শুনলে তো!

Advertisement

২০২৪-য়ে কি তাঁকে সামনে রেখেই লোকসভা ভোটে লড়বে মহাগটবন্ধন? তাঁকেই কি প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরা হবে? সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। নীতীশের সটান জবাব, ‘‘আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও বাসনা নেই। আমার সমর্থকদেরও এ নিয়ে স্লোগান তুলতে বারণ করি। আমার কোনও ইচ্ছে নেই।’’

ইদানীং, বিহারে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর যে কোনও জনসভায় নীতীশকে আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সমর্থকেরা তাঁর নামে স্লোগান দিচ্ছেন। মহাগটবন্ধনের নেতারাও যে কোনও মঞ্চে নীতীশকেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে নীতীশকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি নিজে এটা নিয়ে কী ভাবেন। ঘটনাচক্রে, বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও ক’দিন আগে নীতীশ নিয়ে এই প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। তাঁর জবাব ছিল, ‘‘তিনি (নীতীশ কুমার) আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। আমরা তাঁর অভিভাবকত্বে কাজ করছি। তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য, যে কোনও মূল্যে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনা। তাঁর নিজের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই।’’

Advertisement

গত ৫ জানুয়ারি থেকে নীতীশ রাজ্য জুড়ে ‘সমাধান যাত্রা’য় বেরিয়েছেন। এই যাত্রা রাজ্যের ১৮টি জেলার মধ্যে দিয়ে যাবে। সেখানে গত ১৮ বছরের রাজ্যে কেমন কাজ হয়েছে তা হাতেকলমে জানতে নীতীশ কথা বলবেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। শুনবেন তাঁদের অভাব, অভিযোগের কথাও।

বিহারে বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডির হাত ধরার পর থেকেই নীতীশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা উসকে ওঠে। জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেসের অনেক নেতাও তাতে গলা মেলান। কিন্তু প্রথমে তেজস্বী, তার পর নীতীশ— দু’জনেই প্রকাশ্যেই এই দাবির গোড়ায় জল ঢাললেন। এ বার কি স্লোগান থামবে? প্রশ্ন এখন এটাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement