নিতিন গডকড়ী। ফাইল চিত্র।
তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলে তাঁকে সব রকম ভাবে সমর্থনও করা হবে। বিরোধী দলের এক নেতার তরফে এমনই প্রস্তাব এসেছিল বলে দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তবে কোন নেতা, কখন তাঁকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সে প্রসঙ্গ অবশ্য এড়িয়েই গিয়েছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে গডকড়ী বলেন, ‘‘আমি কারও নাম করতে চাই না। তবে বিরোধী দলের যে নেতা আমাকে সেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাঁকে প্রশ্ন করেছিলাম। আমাকে কেন প্রধানমন্ত্রীর পদের প্রস্তাব দিচ্ছেন, কেন সমর্থন করতে চাইছেন? আর কেনই বা আমি আপনার এই প্রস্তাব গ্রহণ করব?’’
তবে তাঁর মধ্যে যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও বাসনা নেই, কস্মিনকালেও ছিল না, এ কথা সাফ জানিয়েছেন গডকড়ী। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর এই চিন্তাভাবনার কথা ওই নেতাকে জানিয়ে তাঁর প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রবীণ বিজেপি নেতা এর পরই বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হওয়া আমার জীবনের লক্ষ্য নয়। আমি আমার সংগঠনের এক জন অনুগত সৈনিক এবং সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধ। কোনও পদের জন্য সংগঠনের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারব না।’’
তাঁর মতে, রাজনীতি এবং সাংবাদিকতার মধ্যে একটা নৈতিকতা থাকা জরুরি। এ কথা বলতে গিয়ে সিপিআই নেতা প্রয়াত এবি বর্ধনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন গডকড়ী। তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক (আরএসএস)-এর ঘোর বিরোধী ছিলেন বর্ধন। বিরোধী দলের হলেও তাঁকে সম্মান করা হত। এবং কেউ যদি সততার সঙ্গে বিরোধিতা করেন, তাঁকে সম্মান করা উচিত বলেই মনে করেন গডকড়ী। কিন্তু যাঁরা কপটতার এবং অসততার সঙ্গে বিরোধিতা করেন, তাঁরা সম্মানের যোগ্য নন। বর্ধন নিজের আদর্শ, রাজনীতি এমনকি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। রাজনীতিতে এখন এই ধরনের ব্যক্তিত্বেরই খুব অভাব।