যাদবপুরে শনিবার রাতের প্রতিবাদ। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার হতাশা নিয়ে শুরু হয়েছিল জমায়েত। তা দ্রুত পাল্টে গেল টালা থানার প্রাক্তন ওসি গ্রেফতার হওয়ার খবরে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় যাদবপুর এইট বি-র মোড়ে দাঁড়ানো প্রতিবাদী তরুণী বলছিলেন, ‘‘প্রমাণ লোপাটের তত্ত্ব অন্তত প্রমাণ হল। ওসি হয়তো কারও কথায় কাজ করেছিলেন। এ বার নিশ্চয়ই তাঁরাও রেহাই পাবেন না।’’ শ্যামবাজারে ঠিক তখনই ঝেঁপে আসা বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় স্লোগান উঠছে, ‘আসুক যত বৃষ্টি ঝড়, জাস্টিস ফর আর জি কর’!
‘রাত দখলের’ ডাক দিয়ে অন্য দিনের প্রতিবাদী সমাবেশগুলির তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ এ দিনের জমায়েত। কিন্তু শ্যামবাজারের প্রতিবাদীরা কয়েক জন চটজলদি ওই তল্লাট ছেড়ে স্বাস্থ্য ভবনমুখী হলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যর্থ বৈঠক এবং চিকিৎসক ছাত্রী খুনের তদন্তের অভিমুখ পাল্টে যাওয়ার পরেই রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানস্থল কী বলছে, সে-দিকে নজর ছিল গোটা বাংলার। তাও প্রতিবাদী জমায়েত হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকাতেই। যেমন, যাদবপুর বা শ্যামবাজার ছাড়া দমদম নাগেরবাজারের মোড়, সেভেন ট্যাঙ্কসের মোড়, সিঁথির মোড়েও বি টি রোড আটকে চলে রাত দখলের কর্মসূচি। শ’তিনেক মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে জড়ো হন। বরাহনগর, সিঁথির মোড় সহ স্থানীয় এলাকা থেকে আসেন বিক্ষোভকারীরা।
বৃষ্টি থামতে অনেকেই মোমবাতি জ্বালিয়েছেন। স্লোগানের পাশাপাশি জনতার গুঞ্জন শোনা গেল যে, টালা থানার ওসিকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে খবর পেয়েই তাহলে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ভেস্তে দিলেন।
কারও টিপ্পনী, এ বার কি তাহলে সিপি বিনীত গোয়েলকে সরানো হবে? সোল্লাসে স্লোগান উঠেছে, ‘ওসি-র পরে কার পালা/ভয় পেয়েছে চোদ্দোতলা’!