Arpita Mukherjee

অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার টাকা অস্ত্র নির্মলার! প্রশ্ন, ‘এমন প্রমাণ পেলে কী করা যায়?’

রাজ্যসভায় বাজেট অতিরিক্ত খরচের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় একাধিক বিরোধী সাংসদ অর্থ মন্ত্রকের অধীন ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:২২
Share:

অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।

তাঁর হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২৮ কোটি নগদ টাকা ও পাঁচ কেজি সোনা উদ্ধার নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর। মুখে প্রশ্ন, এই ধরনের প্রমাণ পেলে ইডি কী করতে পারে!

Advertisement

ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবে আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পশ্চিমবঙ্গে স্কুলশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিকেই হাতিয়ার করলেন।

রাজ্যসভায় বাজেট অতিরিক্ত খরচের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় একাধিক বিরোধী সাংসদ অর্থ মন্ত্রকের অধীন ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। বিরোধী সাংসদ-বিধায়ক ভাঙাতেও সিবিআই, ইডি-কে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থা নিজের মতো কাজ করে। আপনারা যদি নিজের দলের লোকেদের ধরে রাখতে না পারেন, সেটা অন্য গল্প। তার জন্য ইডি-কে দোষ দেবেন না।’’ এর পরেই পার্থ-ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে টাকা, গয়না উদ্ধারের খবর তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘একজন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ধরনের প্রমাণ পেলে কী করা যায়?”

Advertisement

অর্থমন্ত্রী কোনও রাজ্য, দল বা পার্থের নাম সরাসরি না করায় সে সময় রাজ্যসভায় হাজির তৃণমূল সাংসদরা সুকৌশলে এ নিয়ে আর কথা বাড়াননি। চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় অর্থমন্ত্রীকে বলেন, ‘‘আপনি ওই হাতের কাগজের সত্যতা জানিয়ে সংসদে জমা দিন।’’ নির্মলা বলেন, তিনি অবশ্যই তা করবেন।

রাজ্যসভায় আলোচনার সময় তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন অভিযোগ তুলেছিলেন, মোদী সরকার রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধ করছে। রাজ্যের উপরে আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। অর্থমন্ত্রী এদিন জবাবে বলেন, রাজ্যগুলিকে যে আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে, যে পরিমাণ ঋণ নিতে দেওয়া হচ্ছে বা অতিরিক্ত ঋণে শর্ত চাপানো হচ্ছে, তার সবটাই অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে। বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির প্রতি অবিচারের অভিযোগের জবাবে সীতারামন বলেন, ইউপিএ জমানায় গুজরাতের সর্দার সরোবর বাঁধের মতো প্রকল্প আটকানো হয়েছিল। তার আগেও কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার বিরোধীশাসিত রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement