কেনাকাটার জন্য টাকা ফেরতের কথা জানালেও তার সঙ্গে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। —ফাইল চিত্র।
অতিমারির জেরে ধ্বস্ত অর্থনীতিতে চাহিদা বাড়াতে এবং দেওয়ালির আগে উপভোক্তাদের ব্যয়ে উৎসাহিত করতে নয়া দাওয়াই ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। উৎসবের মরসুমে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বেড়ানো বা ১০ দিনের ছুটি বিক্রি অথবা কেনাকাটার খরচের জন্য বিশেষ ভাউচার দেবে কেন্দ্র। সোমবার এই ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে দেওয়ালি— আসন্ন উৎসবের মরসুমে উপভোক্তারা যাতে আরও কেনাকাটা করতে পারেন, তার জন্য কী দাওয়াই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, গোটা পরিকল্পনাটি দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এক) লিভ ট্র্যাভেল কনসেশন (এলটিসি) ভাউচার এবং দুই) স্পেশাল ফেস্টিভ্যাল অ্যাডভান্স স্কিম। কেন্দ্রের এই প্রকল্পের আওতায় যে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরে ভারতের যে কোনও জায়গায় ভ্রমণ করতে পারবেন। ওই কর্মচারীর বেতনক্রম অনুযায়ী বিমান ভাড়া বা ট্রেনের টিকিট বাবদ যা খরচ হবে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ফেরত দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ওই কর্মচারীর ১০ দিনের ছুটির টাকাও ডিএ-সহ মিটিয়ে দেবে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে কোনও কর্মচারী ১২ শতাংশ বা তার বেশি জিএসটি-যুক্ত পণ্যের কেনাকাটা করলে, সে টাকাও ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এলটিসি ভাউচারের মাধ্যমে ওই টাকা মেটানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিন নির্মলা সীতারামন বলেন, “কোভিডের জন্য কর্মচারীরা কোথাও ভ্রমণ করতে পারেননি। এই টাকায় তাঁরা নিজেদের পছন্দ মতো জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। তবে তা ১২ শতাংশ বা তার বেশি জিএসটিযুক্ত হতে হবে।”
কেনাকাটার জন্য টাকা ফেরতের কথা জানালেও তার সঙ্গে আরও শর্ত জুড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “(টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য) কেবলমাত্র ডিজিটাল মোডেই কেনাকাটা করতে হবে। সেই সঙ্গে জিএসটি ইনভয়েসও দেখাতে হবে, যাতে ওই কর্মচারী টাকা ফেরত পান।”
আরও পড়ুন: নতুন করে সংক্রমিত ৬, পাঁচ দিনে শহরের ৯৪ লক্ষের করোনা পরীক্ষা করতে চলেছে চিন!
আরও পড়ুন: সনিয়ার ‘হাত’ ছেড়ে পদ্মবনে খুশবু ছড়ালেন তামিল অভিনেত্রী
অন্য দিকে, স্পেশাল ফেস্টিভ্যাল অ্যাডভান্স স্কিমের আওতায় রুপে প্রিপেড কার্ডের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকা সরকারি কর্মচারীদের দেবে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বছরে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তথা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মচারীরাও এই প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারবেন। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ হবে ৫ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। এলটিসি ক্যাশ ভাউচার প্রকল্পের আওতায় সরকারের কোষাগারে অতিরিক্ত ২৮ হাজার কোটি টাকা আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্মলা সীতারামন।