বাঁ দিকে কঙ্গনা রানাউত এবং ডান দিকে আশা দেবী।
আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহকে নিয়ে কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্যকে পুরোপুরি সমর্থন করলেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। তাঁর মতে, কঙ্গনা ঠিকই বলেছেন। অভিনেত্রীর মতোই আশা দেবীও তাঁর মেয়ের ধর্ষক ও খুনিদের প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন।
এক সাক্ষাৎকারে আশা দেবী বলেন, ‘‘কঙ্গনা ঠিকই বলেছেন। আমি তাঁকে পূর্ণ সমর্থন করি। আমি খুশি যে কেউ অন্তত ইন্দিরা জয়সিংহের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন এবং আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’’ নির্ভয়া-কাণ্ডের চার অপরাধীকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কঙ্গনা। সেই একই সুর শোনা গিয়েছে আশা দেবীর গলাতেও। তাঁর মতে, প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হলে এমন অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে তা উদাহরণ হয়ে থাকবে।
আশা দেবী আরও বলেন, যাঁর মেয়ে এমন ঘৃণ্য অপরাধের শিকার হয়, কেবল মাত্র তিনিই এই যন্ত্রণা অনুভব করতে পারেন। এই সূত্রেই তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘‘যখন এই বর্বর ঘটনা ঘটেছিল তখন মানবাধিকার কর্মীরা কোথায় ছিলেন?’’
আরও পড়ুন: ‘ওঁকে ধর্ষকদের সঙ্গে চার দিন জেলে রাখা উচিত’, আইনজীবীকে তোপ কঙ্গনার
নিভর্য়া-কাণ্ডে এই বিতর্কের সূত্রপাত টুইটারে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহের একটি মন্তব্যকে ঘিরে। শুক্রবার নির্ভয়ার মায়ের উদ্দেশে ইন্দিরা টুইট করেন, ‘‘আমরা আপনার কষ্ট বুঝতে পারছি। আপনার সঙ্গেই রয়েছি। তবে সনিয়া গাঁধী যেমন রাজীব গাঁধীর আততায়ী নলিনীকে ক্ষমা করেছিলেন, সেই রকম নির্ভয়ার মায়েরও উচিত ধর্ষকদের ক্ষমা করে দেওয়া।’’
এর প্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়ে আশা দেবী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কে ইন্দিরা জয়সিংহ? উনি আমাকে পরামর্শ দেওয়ার কে? গোটা দেশ যখন ধর্ষকদের ফাঁসি চাইছে, তখন বুঝতে পারছি, ওঁর (ইন্দিরা জয়সিংহ) মতো কয়েক জনের জন্যই ধর্ষিতারা এ দেশে যথাযথ বিচার পান না।’’
আরও পড়ুন: শেষ ইচ্ছা জানাল না নির্ভয়া-কাণ্ডের চার দণ্ডিত, ফাঁসির দিনক্ষণ নিয়ে জোরালো হচ্ছে সংশয়
এই প্রসঙ্গেই ক্ষোভ উগরে দেন কঙ্গনা রানাউত। ইন্দিরাকে নিশানা করে বলেন, ‘‘ওই মহিলাকে ওই সব ধর্ষকদের সঙ্গে চার দিন জেলে রেখে দেওয়া উচিত। উনি কী রকম মহিলা যে ধর্ষকদের প্রতি সমব্যথী? ওঁর মতো মহিলারাই রাক্ষসের জন্ম দেন।’’