প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে সংক্রমণ পজিটিভ এসেছিল সোমবার সন্ধ্যায়। সেই সঙ্গে যুক্ত হল হাইকোর্টের নির্দেশও। মঙ্গলবার তেলঙ্গানায় জারি হল ‘নাইট কার্ফু’। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাত্রীকালীন কার্ফু বলবৎ থাকবে সে রাজ্যে।
সরকারি নির্দেশিকা জানাচ্ছে, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সমস্ত অফিস, রেস্তরাঁ, সিনেমা হল, দোকান-বাজার বন্ধ থাকবে রাজ্যে। ছাড় পাবে, হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অত্যাবশকীয় পরিষেবা। প্রসঙ্গত, সোমবারই হায়দরাবাদ হাইকোর্ট তেলঙ্গানা সরকারকে রাত্রীকালীন কার্ফু বা লকডাউন জারির জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছিল।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, চন্দ্রশেখরের জ্বর এবং শরীরে ব্যথা রয়েছে। তবে আপাতত বাড়িতেই নিভৃতবাসে আছেন তিনি। ব্যক্তিগত কর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা তাঁর সংস্পর্শ থেকে দূরে রয়েছেন। তাঁদের সকলেরই কোভিড পরীক্ষা হয়েছে।
নাগার্জুনসাগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) প্রার্থী নমুলা ভগতের সমর্থনে গত ১৪ এপ্রিল জনসভা করেছিলেন চন্দ্রশেখর। হালিয়া এলাকায় আয়োজিত লক্ষাধিক টিআরএস কর্মী-সমর্থকের ওই সভা থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রার্থী নমুলা-সহ বেশ ওই সভায় উপস্থিত বেশ কয়েক জন টিআরএস নেতা ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। ১৪ এপ্রিলের সভার পরে হালিয়া থেকে ৬৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গোটা নালগোন্ডা জেলায় ৪৪০টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা চিহ্নিত করা গিয়েছে।