প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জঙ্গি এবং গ্যাংস্টারদের মধ্যে যোগসাজশ নিয়ে তদন্তে নামল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ইতিমধ্যেই তারা ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ৪৩ জন দুষ্কৃতীর নাম প্রকাশ করেছে। যাদের সঙ্গে খলিস্তান জঙ্গিদের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এনআইএ যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকায় রয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই, জগদীপ সিংহ, কালা জাঠেরি ওরফে সন্দীপ, বীরেন্দ্র প্রতাপ ওরফে কালা রানা এবং যোগেন্দ্র সিংহের মতো কুখ্যাত দুষ্কৃতী। খলিস্তান জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনের ঘটনায় কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে ভারত এবং কানাডার মধ্যে। কানাডা অভিযোগ তুলেছে, এই খলিস্তান জঙ্গিকে খুনের পিছনে হাত রয়েছে ভারতের। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে ভারত। আর সেই ঘটনা নিয়েই বিতর্ক বেড়েছে। কূটনৈতিক টানাপড়েনও শুরু হয়েছে।
দু’দেশের এই টানাপড়েনের মাঝেই ৪৩ দুষ্কৃতীর নাম প্রকাশ্যে আনল এনআইএ। শুধু তাই-ই নয়, এই দুষ্কৃতীদের সম্পত্তি এবং গতিবিধি কারও নজরে পড়লে তাদের জানানোর জন্য আবেদনও করা হয়েছে। তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পেরেছে, এই গ্যাংস্টারদের বেশির ভাগই কানাডা যোগ রয়েছে। এমনকি, খলিস্তান যোগের বিষয়টি উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়ের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে কানাডা। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সংবাদমাধ্যমে জানান, সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসে অর্থসাহায্য এবং বিদেশে জঙ্গিদের আশ্রয়ের বিষয়টি গুরুতর হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় এবং সন্ত্রাসে অর্থ সাহায্য করে পাকিস্তান। কিন্তু জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় এবং বিদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের পরিচালনা এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
কানাডার প্রসঙ্গও এনেছেন তিনি। বাগচীর কথায়, “আমরা চাই কানাডার সরকার জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় না দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।” ২০-২৫ জন জঙ্গিকে প্রত্যর্পণের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। কিন্তু কানাডা সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগী হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।