জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। —ফাইল চিত্র।
আইএস জঙ্গিদের খোঁজে আজ দেশের তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায় তল্লাশি চালাল এনআইএ। তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূর, চেন্নাই ও তেলঙ্গানায় তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিহার, উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর, আজ়মগড়, মহারাজগঞ্জ, মধ্যপ্রদেশের রতলাম, পঞ্জাবের লুধিয়ানা, গোয়ার দক্ষিণ গোয়া, কর্নাটকের ইয়াদগির ও মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। রাজস্থান থেকে ওমর ওরফে রাহুল সেন ওরফে ওমর বাহাদুরকে গ্রেফতার করেন তাঁরা। এনআইএ জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের রতলাম থেকে ধৃত ওমর সমাজমাধ্যমে আইএসের হয়ে জেহাদি প্রচার চালাত। জঙ্গি কার্যকলাপে যুবকদের নিয়োগের চেষ্টাও করত সে।
এই গ্রেফতারির পরে আরও বিস্তৃত হয় এনআইএ-র তদন্তের জাল। অন্য দিকে জুলাই মাসে গ্রেফতার হয়েছিল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ফয়জ়ান আনসারি। তার কাছ থেকেও অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তাঁদের দাবি, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফয়জ়ান অর্থনীতিতে স্নাতক স্তরের ছাত্র। ক্যাম্পাসের কাছেই এক লজে থাকত সে। সেখানে কয়েক জন আইএস প্রভাবিত ব্যক্তির সঙ্গে তার আলাপ হয়। তার পরে একটি দল তৈরি করে আইএসের হয়ে প্রচার চালাতে শুরু করে তারা।
এনআইএ জানিয়েছে, এই সব তথ্যের ভিত্তিতেই তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায় ৩১টি ‘আইএস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’ তল্লাশি চালিয়েছে তারা। কোয়ম্বত্তূরের কোভাই আরবি কলেজকে কেন্দ্র করে তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা। ওই কলেজের কয়েক জন পড়ুয়া ও তাদের সঙ্গে যুক্ত কয়েক জনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। কোয়ম্বত্তূর পুরসভার এক কাউন্সিলরের স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা।
এনআইএ জানিয়েছে, আরবি শেখানোর আড়ালে পড়ুয়াদের মধ্যে মৌলবাদ প্রচার করা হচ্ছিল। পরে সমাজমাধ্যম এবং হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামের মতো অ্যাপের মাধ্যমে তা অনলাইনে প্রচার করা হত। এ ভাবেই যুবকদের আইএসের পথে টেনে আনার চেষ্টা করত তারা। ২০২২ সালের অক্টোবরে কোয়ম্বত্তূরের গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে এই ধরনেরই কিছু যুবক যুক্ত ছিল।