—প্রতীকী চিত্র।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এ বার বিশাখাপত্তনম থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। আদতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা, হাজি আবদুল রহমান লকড়াওয়ালা নামের ওই অভিযুক্তের সঙ্গে ভারতীয় নৌসেনা আধিকারিকদের গোপন যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, তাঁর মাধ্যমেই পাক গুপ্তচর ও নৌসেনা আধিকারিকদের মধ্যে মোটা টাকার লেনদেন হতো।
নৌসেনার কিছু সদস্য পাকিস্তানের হাতে গোপন তথ্য তুলে দিচ্ছেন বলে গত বছরের শেষ দিকে এমন একটি চক্রের হদিশ পাওয়া যায়। সেই মতো ২০ ডিসেম্বর রাত থেকে বিশাখাপত্তনম, মুম্বই এবং কর্নাটকের কারওয়ারে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। গ্রেফতার করা হয় নৌসেনার সাত জন সদস্যকে।
জানা যায়, ২০১৭ সালে নাবিক হিসাবে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দেন ওই সাত জন। তার পর নিয়ম ভেঙে অন্য নামে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেখানেই এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁদের। ফেসবুকের মাধ্যমে বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। এর পরেই উল্টো দিকের মহিলা ভিডিয়ো, অডিও এবং মেসেঞ্জারের সমস্ত চ্যাট প্রকাশ্যে আনার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন তাঁদের।
আরও পড়ুন: বাঁকেই বিপদ, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা-সহ ৭ জেলা ভাসবে বৃষ্টিতে
আরও পড়ুন: কেউ রাস্তায় হাঁটলে আদালত থামাবে কী করে? পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে মামলায় বলল শীর্ষ আদালত
পরবর্তী সময়ে জানা যায়, এক জন নন, আসলে তিন জন মহিলা মিলে ওই নাবিকদের ব্ল্যাকমেল করছিলেন। নৌবাহিনীর বিভিন্ন জাহাজ ও সাবমেরিনের অবস্থান সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নিচ্ছিলেন তাঁরা। এর পর ওই মহিলাদের নির্দেশেই ওই সাতজন যোগাযোগ করে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে, যিনি কিনা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন।